আরজি কর ধর্ষণকাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে ফাঁসানো হচ্ছে। এমনই দাবি করলেন সিভিক ভলান্টিয়ারের আইনজীবী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে পুরো বিষয়টাই সাজানো হয়ে থাকতে পারে। পুরোটাই সাজানো ঘটনা। সঞ্জয় কিছু করেনি বলে দাবি করেন আইনজীবী। সেই পরিস্থিতিতে সঞ্জয়কে বেকসুর খালাস ঘোষণা করার আর্জি জানিয়েছেন শিয়ালদা আদালতে।
প্রমাণ মেলেনি অনেক, দাবি সঞ্জয়ের আইনজীবীর
আর কোন কোন কারণে সঞ্জয়কে বেকসুর খালাস করে দেওয়া উচিত, সেটার স্বপক্ষেও যুক্তি দিয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের আইনজীবী। তিনি দাবি করেছেন, তরুণী চিকিৎসকের দেহে ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই যা জানিয়েছে, তাতে ধস্তাধস্তির চিহ্ন অবশ্যই পাওয়া যাওয়া উচিত। ছিঁড়ে যাওয়া উচিত পোশাক। অথচ সেরকম কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি করেছেন সঞ্জয়ের আইনজীবী।
ফাঁসানো হয়েছে সঞ্জয়কে, দাবি আইনজীবীর
সেইসঙ্গে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের আইনজীবী দাবি করেন, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়নি। পুরোপুরি সাজানো ঘটনা এটা। মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। সঞ্জয় কিছু করেনি। ফাঁসানো হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। হয়তো ঘটনার পরে পুরো বিষয়টি সাজানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন সঞ্জয়ের আইনজীবী।
সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে সিবিআই
যদিও ইতিমধ্যে সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সওয়াল করেছে, বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ সংঘটিত হয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের। সেজন্য সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের আর্জি জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। যিনি বৃহস্পতিবার শিয়ালদা আদালতে ফের বক্তব্য পেশ করা হবে।
সিবিআই তদন্তে উষ্মা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের
তারইমধ্যে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা এবং মা। তাঁরা জানিয়েছেন, নতুন করে তদন্তের আর্জি জানাচ্ছেন না। বরং মেয়ের বিচার চেয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তের আর্জি জানাচ্ছেন। আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে। তাকে বা তাদের খুঁজে বের করতে হবে বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের অভিভাবক।
তাঁরা ইতিমধ্যে শিয়ালদা আদালতেও জানিয়েছেন যে সঞ্জয় একা নয়, মেয়েদের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। একজনের পক্ষে এরকম কাজ করা সম্ভব নয় বলে সওয়াল করেছেন। যদিও দিল্লি এইমসের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বাধীন গঠিত ‘মাল্টি-ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড’-র অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে, সেটা একজনের পক্ষেও সম্ভব।