প্রথম যখন হিনা খান জনাতে পেরেছিলেন যে, মারণরোগ ক্যানসার তাঁর দেখে বাসা বেঁধেছে, তখন ঠিক কী অবস্থা হয়েছিল তাঁর? কার মুখেই বা প্রথম এই খবর শুনেছিলেন নায়িকা? এবার সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন হিনা।
প্রেমিককের মুখ থেকে প্রথম তাঁর স্তন ক্যানসারের খবর পেয়েছিলেন হিনা!
অনেক দিন ধরে স্তন ক্যানসারে ভুগছেন হিনা খান। তিনি নিজেই একটি পোস্টের মাধ্যমে তাঁর এই রোগের কথা জানিয়েছিলেন ভক্তদের। শুধু তাই নয় তারপর থেকে তিনি নানা ছবি ও ভিডিয়ো প্রকাশ করে, তাঁর শারীরিক অবস্থার নানা আপডেট ভাগ করে নিতেন অনুরাগীদের সঙ্গে। কিন্তু এই অসুখের ফলে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। অনেকটা লড়াই চালাতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। কিন্তু প্রথম যখন তিনি জনাতে পেরেছিলেন যে, মারণরোগ ক্যানসার তাঁর দেখে বাসা বেঁধেছে, তখন ঠিক কী অবস্থা হয়েছিল তাঁর? কার মুখেই বা প্রথম এই খবর শুনেছিলেন নায়িকা? এবার সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন হিনা।
অভিনেত্রী জানান, শারীরিক কিছু সমস্যা হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তিনি কিছু টেস্টে করিয়েছিলেন। তারপর একদিন পরিবারের সঙ্গে নৈশভোজের সময় তিনি জানতে পারেন মারণ রোগ ক্যানসার তাঁর দেহে বাসা বেঁধেছে। খবরটা শুনে প্রথমে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন নায়িকা।
হিনা সম্প্রতি ইন্ডিয়াস বেস্ট ডান্সার ভার্সেস সুপার ডান্সারের মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন। সনি টিভির এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হর্ষ লিম্বাচিয়া। ডান্স রিয়েলিটি শোতে বিচারক হিসেবে রয়েছেন মালাইকা অরোরা, গীতা কাপুর এবং রেমো ডি'সুজা। সেখানেই তিনি যে দিন তাঁর স্টেজ থ্রি স্তন ক্যানসারের কথা জানতে পেরেছিলেন, সেই দিনের কথা ভাগ করে নিয়েছেন।
হিনা বলেন, 'যে রাতে জানতে পারলাম, সেদিন আমার প্রেমিক আমার বাড়িতে ডিনার করতে এসেছিলেন। আমাদের খাওয়া শেষ হলে, তিনিই আমাকে বলেছিলেন যে আমার টেস্টের রেজাল্ট পজেটিভ। সেটা শুনে আমার গাল বেয়ে চোখের জল পড়ে ছিল। এটা শুনে আমি প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলাম। প্রায় ১০ মিনিট চুপ করে বসে ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, 'রোগের কথা জানার ঠিক আগে আমি আর আমার ভাই ফালুদা অর্ডার করেছিলাম। তারপর জানতে পারার পর যখন ওই ফালুদা নিয়ে ডেলিভারি বয় বেল বাজালো, তখন আমার মনে হচ্ছিল বাড়িতে মিষ্টি কিছু এল। সেই ফালুদা আমার টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠেছিল। দুঃখের কথা না ভেবে, আমি পজিটিভ থাকার কথা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা একসঙ্গে ফালুদা খেয়ে, তারপর ঘুমাতে গিয়েছিলাম।
চিকিৎসা চলাকালীন, হিনা কাছের মানুষদের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। তাঁর কথায়, 'আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে কাছের মানুষরা আমার থেকেও বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। আমি ওঁদের নানা ভাবে আশস্ত করতাম, যাতে বাড়িতে একটা পজিটিভিটি বজায় থাকে। আমি কখনই রোগীর মতো আচরণ করিনি। সব সময় আমি স্বাভাবিক ও প্রাণবন্ত থাকার চেষ্টা করতাম।