চলে গেলেন উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। গত ৩-৪ দিন ধরে তাঁর স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হয়। এদিন বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঋতাভরী চক্রবর্তী, চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তীর বাবা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
আরও পড়ুন: 'অন্তিম রায় না আসা পর্যন্ত...' ফের পথে নামার ডাক মীরের, প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের কোন কথা নিয়ে?
আরও পড়ুন: রাখির বাজারেও স্ত্রী ২-র রমরমা! সোমবার ৩৮ কোটি আয় শ্রদ্ধার ছবির, কী অবস্থা 'খেল খেল মে - বেদা'র?
মঙ্গলবার ২০ অগস্ট সন্ধ্যায় তিনি তবে কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রসঙ্গত উৎপলেন্দু চক্রবর্তী একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। ময়নাতদন্ত, চোখ, দেবশিশু, ইত্যাদির মতো ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।
উৎপলেন্দু তাঁর এই চোখ ছবিটির জন্যই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। এই ছবিটির পোস্টার এঁকে দিয়েছিলেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায়। তিনি কেবল জাতীয় পুরস্কার নন, পেয়েছিলেন এনএফডিসির স্বর্ণপদক সহ রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও।
জানা গিয়েছে এদিন তিনি সন্ধ্যা বেলায় চা খেয়েছেন তিনি। তারপরই ঝিমিয়ে পড়েন। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রয়াত পরিচালকের দীর্ঘদিনের সহকারী অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন চিকিৎসকরা জানিয়েছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন উৎপলেন্দু চক্রবর্তী।
উৎপলেন্দুর স্ত্রী শতরূপা চক্রবর্তী এবং তাঁর দুই মেয়ে অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী এবং ঋতাভরী চক্রবর্তী আলাদা থাকেন। বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেন না তাঁরা। মঙ্গলবারই শেষকৃত্য হওয়ার কথা এই জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালকের। তবে সেখানে তাঁর পরিবারের লোকজন উপস্থিত থাকবেন কিনা জানা নেই।
আরও পড়ুন: 'মুম্বইয়ের বন্ধুদের কাছে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে', আরজি কর কাণ্ডে পথে নেমেই প্রতিক্রিয়া অনীকের
গত এপ্রিল মাসে পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভাঙেন পরিচালক। তারপর অপারেশন হয়। বাড়িও ফিরে আসেন। তাঁর সেটা ছাড়াও ডিমেনশিয়া, সিওপিডি, ইত্যাদির সমস্যাও ছিল। এদিন নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।