বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের পর পশ্চিমবঙ্গকেই ভুয়ো নথি তৈরির কারখানা বানিয়ে ফেলেছে ইসলামি চরমপন্থী জঙ্গিরা। জাল আধার থেকে বার্থ সার্টিফিকেট, এমনকী ভোটার তালিকায় নাম তুলেꦓ পাসপোর্টও বানিয়ে ফেলছে অনেকে।💫 তদন্তে নেমে এব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন গোয়েন্দারা। এমনকী বারাসত শহর লাগোয়া কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে চিঠি দিয়ে একাধিক বার্থ সার্টিফিকেটের ব্যাপারে তথ্য চেয়েছেন গোয়েন্দারা। কী করে বারাসত শহর ও লাগোয়া এলাকা জাল বার্থ সার্টিফেট তৈরির আখড়া হয়ে উঠল তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, যত🌄 ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট উদ্ধার হয়েছে তার প্রায় সবটাই কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত, গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, বারাসত পৌরসভা ও বসিরহাট পৌরসভা থেকে জারি হয়েছে। কোন নথির ভিত্তিতে এই বার্থ সার্টিফিকেট জারি করা হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিঠি দিয়ে কোন কোন নথির ভিত্তিতে সেখান থেকে ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেটগুলি জারি করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন গোয়েন্দারা।
কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাধুরী মণ্ডল বলেন, আমরা চিঠি পেয়েছি। যে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তা ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওদিকে বারাসতের পুরপ্রধান অশ্বিনী মুখোপাধ্যায় কোনও চিঠি আসেনি বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের পুরসভায় বার্থ সার্টিফিকেট অনলাইনে জারি হয়।🃏 ফলে জাল সার্টিফিকেট জারি হয়ে থাকলে তা অন্য কেউ করেছে। তার সঙ্গে পুরসভার কোনও যোগ নেই। তদন্ত হলে পুরসভা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে। জাল নথিকাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে বারাসত থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা।
বলে রাখি, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে হাবরা ২ নম♎্বর ব্লকের গুমায় এক সভায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এক স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী। এই হাবরা ২ নম্বর ব্লক লাগোয়া বারাসত ১ নম্বর ব্লক। যে ব্লকে অবস্থিত কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত।