গৃহবধূকে কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে প্রতিবাদ হয়। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আসানসোল। হামলা চালানো হল গৃহবধূর বাড়িতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। চলে ইটবৃষ্টি, হাতাহাতি, আগুন ধরানো হয় বাইকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসরে নামে বিজেপি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মধ্যরাত পর্যন্ত থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
আরও পড়ুন: মানছে না মায়ের মন, পানাগড়ের ঘটনায় ‘ইভটিজিং’য়েরই অভিযোগ দায়ের করলেন তনুশ্রী!
জানা গিয়েছে, বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার রাঙানিয়া পাড়ায়। অভিযোগ, সন্ধ্যায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু যুবকের কটূক্তির শিকার হন ওই গৃহবধূ। স্থানীয় ক্লাবের কয়েকজন সদস্য গৃহবধূকে কটূক্তি করেন। গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর স্বামীও ছিলেন। তিনি এর প্রতিবাদ তাঁকে ধরে মারধর করেন ক্লাবের সদস্যরা। এমনকী তাঁর বাড়িতে গিয়েও হামলা চালানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই দুই পাড়ার মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই গৃহবধুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আক্রান্ত হন। দুপক্ষের সংঘর্ষে ইটবৃষ্টি হয়। হাতাহাতিও হয়। এমনকী রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা একটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। উতপ্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে। শেষপর্যন্ত গৃহবধূকে কটূক্তি করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ প্রথম থেকে সক্রিয় থাকলে এরকম পরিস্থিতি হতো না।
জানা গিয়েছে, বিজেপির জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ও কর্মীরা থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে বিক্ষোভে যোগ দেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি আক্রান্তদের নিয়ে থানায় সামনে বসে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে দাবি তোলা হয় ১০ জন হামলাকারী এবং অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। শেষপর্যন্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে রাত দুটো নাগাদ বিক্ষোভ উঠিয়ে নেয় বিজেপি। যদিও এই পাড়ায় হিংসার ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার অশান্তি ছড়িয়েছে এই এলাকায়। এই অবস্থায় এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।