আইনজীবীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়লেন সাত আইপিএস অফিসার। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৫ জুন এই সাত আইপিএস অফিসারকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২৫ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, তা সরাসরি আইপিএস অফিসারদের থেকে জানতে চায় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: জনস্বার্থ মামলা নিয়ে ‘নজিরবিহীন’ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের, পরিবর্তন করা হল বেঞ্চ
আইনজীবীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছিল ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে। হাওড়া কোর্ট চত্বরে বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে আইনজীবীদের তুমুল বচসা বাঁধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পুরসভার বেশ কয়েকজন কর্মী লাঠি ও রড দিয়ে আইনজীবীদের উপর আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় বলে দাবি করা হয়। এমনকী কাঁদানে গ্যাসও ছোড়ে পুলিশ। মহাত্মা গান্ধী রোডে সংঘর্ষের সময় পাথর এবং পুলিশের লাঠির আঘাতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছিলেন। ঘটনায় আক্রান্ত হন আইনজীবীরাও। অভিযোগ ওঠে, বেশ কয়েকজন আইনজীবী পুলিশের লাঠিচার্জের ফলে আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতা হাইকোর্ট এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে।
শুক্রবার সেই মামলায় রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট। তাতে সাত অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত বলেই জানায় দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই সাতজন পুলিশ অফিসার হলেন আইপিএস বিশাল গর্গ, ভাবনা গুপ্ত, ভিএসআর অনন্ত নাগ, গুলাম সরওয়ার, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপিন তামাং এবং রাজর্ষি দত্ত। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, তা সরাসরি আইপিএস অফিসারদের কাছ থেকে জানতে চায় উচ্চ আদালত। সেই কারণে তাঁদের আগামী ২৫ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তারপর এই মামলায় পরবর্তী পদক্ষেপ করবে হাইকোর্ট।