যে রকম নিখুঁত ক্রিকেট খেলছিলেন, তাতে ব্যক্তিগত শতরান বাঁধা দেখাচ্ছিল শুভমন গিলের। তবে শুক্রবার আমদাবাদে তৃতীয় আম্পায়ারে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফিরতে হয় গুজরাট টাইটানসের ক্যাপ্টেনকে। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন শুভমন গিল, তিনি মাঠ ছাড়ার পরে চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে রীতিমতো তর্ক জুড়ে দেন।
বিশেষজ্ঞরাও এক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত। অনেকের দাবি তৃতীয় আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। অনেকেই আবার গিল দুর্ভাগ্যের শিকার বলে মনে করছেন।
শুক্রবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৫-এর ৫১তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে গুজরাট টাইটানস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে হোমটিম গুজরাট। যথারীতি সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন ক্যাপ্টেন শুভমন গিল। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন।
শেষে ১২.৬ ওভারে দুর্ভাগ্যজনক রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন গিল। যদিও তাঁর আউট নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। জীশান আনসারির বল শর্ট ফাইন-লেগে ঠেলে দিয়েই এক রানের জন্য দৌড়ন জোস বাটলার। নন-স্ট্রাইকার ব্যাটার শুভমন গিল ব্যাটিং ক্রিজে পৌঁছনোর আগেই ফিল্ডার হার্ষাল প্যাটেল বল ছুঁড়ে দেন উইকেটকিপার এনরিখ ক্লাসেনের দিকে।
বিতর্কিত রান-আউট শুভমন গিল
ক্লাসেন বল ধরে হাতে রাখার চেষ্টাও করেননি। তিনি শুধু বলে হাত ছুঁইয়ে তা স্টাম্পে লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। বল স্টাম্প ছুঁয়েছে কিনা, সেই বিষয়েই দেখা দেয় সংশয়। রিপ্লেতে দেখা যায় বল বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে ক্লাসেনের গ্লাভস লাগে স্টাম্পে। তৃতীয় আম্পায়ার বেশ কিছুক্ষণ ধরে রিপ্লে দেখার পরে সিদ্ধান্ত দেন যে, কিপারের গ্লাভস দিয়ে স্টাম্প ভাঙার আগে বল স্টাম্প ছুঁয়ে যায়। তখনও গিল ক্রিজের বাইরে ছিলেন। অর্থাৎ, গুজরাট দলনায়ক এক্ষেত্রে আউট।
রিজার্ভ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক গিলের
তবে গিলের মনে হয় যে, বল স্টাম্পে লাগেনি। ক্লাসেন গ্লাভস দিয়েই স্টাম্প ভেঙেছেন। তাই সাজঘরে ফেরার সময় রাগে গরগর করতে দেখা যায় গুজরাট দলনায়ককে। ডাগ-আউটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চতুর্থ আম্পায়ারের কাছে সোজা এগিয়ে যান গিল। তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেন এক্ষেত্রে। রিজার্ভ আম্পায়ার গিলকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তৃতীয় আম্পায়ার কেন তাঁকে আউট দিয়েছেন।
গিল শেষমেশ ৩৮ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। এমন আগ্রাসী ইনিংসে শুভমন ১০টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।