উত্তরবঙ্গ সফরে এসে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে আমজনতা - সকলকেই 𒁏সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যাতে কোনওভাবেই বাইরে থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদীরা বাংলায় ঢুকে ঘাঁটি গাড়তে না পারে, সেই বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে বললেন তিনি।
আজ (বুধবার - ২১ মে, ২০২৫) উত্তরবঙ⛄্গের প্রশাসনিক ভবন 'উত্তরকন্যা'-এ প্রশাসনিক সভা করেন মমতা। সেখানে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারাꦗ উপস্থিত ছিলেন। সেই মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রী সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন, উত্তরবঙ্গে কাজ করার অর্থ হল - অনেক বেশি দায়িত্ব পালন করা। এই প্রসঙ্গে জাল ভোটার থেকে শুরু করে ফেক নিউজের প্রচার প্রভৃতি সকল বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সচেতন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বাইরের বহু লোক রাজ্যে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে এবং পরে সেইসব তথ্য হাতিয়ার করেই জঙ্গি ও তাদের সহযোগীরা রাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। এটা হতে দেওয়া চলবে না। মুখ্যমন্ত্রীর﷽ বার্তা, অনেকেই বাইরে থেকে এসে বেআইনিভাবে রাজ্যের ভোটার হয়ে যাচ্ছে, এসবও চলবে না।🍰 সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে সকলকে।
মমতা পুলিশের উদ্দেশে বলেন, 'আমি শুনেছি অনেক বাইরের লোক, কেউ অসম থেকে, কেউ ইধার থেকে, কেউ উধার থেকে, বিভিন্ন লোক, বিভিন্ন এলাকায় ঢুকছে। ঢুকে এমনকী আমাদের সমর্থকের কাছেও তার নম্বর, তার প্যꦫান কার্ড নম্বর, তার আধার কার্ড নম্বর, তার ফোন নম্বর, সে কী করে, তার ডিটেলস নিয়ে চলে যাচ্ছে। অফিসারদেরও! আমি পুলিশকে বলব, বি অ্যালার্ট। বাইরে থেকে কোনও জঙ্গি যেন কোথাও গিয়ে শেল্টার নিতে না পারে।'
উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষকেও এই বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ করেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমন সন্দেহভাজনদের পাকড়াও ক﷽রা হয়েছে এবং হচ্ছে। তাঁর কথায়, 'অথোরাইজড লোক ছাড়া..., কেউ কাউকে কোনও ডিটেলস দেবেন না।... এরকম অনেককে ধরা হয়েছে। ঝাড়গ্রামে একটা টিম ধরা পড়েছে। মালদা, কোচবিহার, কলকাতা... অনেকꦉ জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে!'
মমতার স্পষ্ট বার্তা, জঙ্গি কার্যকলাপ বা সন্ত্রাসবাদের 🃏মোকাবিলা করতে হলে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনও ঢিলꦍেমি চলবে না। এক্ষেত্রে তিনি যে মোটেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাজে খুশি নন, কার্যত সেটাও বুঝিয়ে দেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা প্রশাসনিক প্রধান।
তিনি বলেন, 'চোখ-কান খোলা রেখে সবাই কাজ করলে, একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রত্যককে নজর রাখতে হবে, ღসতর্ক থাকতে হবে।... আগে পুলিশরা তিন-চারবার গিয়ে গিয়ে ঘুরত এলাকায়, পাঁচবার, ছ'বার। এখন ঘোরেই না!... যত বেশি ঘোরা যাবে পুলিশের ভ্য়ান নিয়ে, মানুষ তো জানবে যে এরা অꦉ্য়ালার্ট আছে। বর্ডার এরিয়া খুব সেন্সিটিভ।... লক্ষ্য রাখবেন। বিএসএফের দায়িত্বে আছে বলে আপনারা আইসিরা, ওসিরা - চোখ, কান বুজে বসে রইলেন, না! সেটা হয় না! '