দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কি বাংলায় সফরে আসছেন? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ এপ্রিল মাসেই উত্তরবঙ্গের ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগরে আসতে পারেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলে সূত্রের খবর। এই খবর চাউর হতেই এখন জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আ🍌বার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং হাইভোল্টেজ বিষয় ঘটতে চলেছে বলে খবর। শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করেছে ইন্টারন্যাশনাল সাঁওতাল কাউন্সিল।
এই নিয়ে নবান্নে কোনও খবর আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হয়। সেখান থেকে প্রাপ্ত খবর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আসার কথা শোনা গিয়েছে। তবে সরকারি কোনও নথি এসে এখনও পৌঁছয়নি। তবে ইন্টারন্যাশনাল সাঁওতাল কাউন্সিলের দাবি, আগামী ২৪ এবং ২৫ এপ্রিল বিধাননগরের সন্তোষিণী বিদ্যাচক্র হাইস্কুলের মাঠে হতে চলেছে ইন্টারন্যাশনাল আদিবাসী সাঁওতাল কনফারেন্স। সেখানের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল সাঁওতাল কাউন্সিল সদস্যদের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতি ছাড়াও এখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝিকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। বাংলার কৃষি বিপꦏণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকেরও উপস্থিত থাকার কথা আছে।
আরও পড়ুন: ‘কোনওরকম গুন্ডামি পুলিশ বরদাস্ত করবে না’, সাফ জিরো টলারেন্স নীতি রাজীব কুমারের
কিন্তু এত বড় একটা ব্যাপার হতে চলেছে সেটা সেভাবে চাউর হয়নি বলেই সকলে এখন আশ্চর্য হচ্ছেন। রাষ্ট্রপতির মতো সর্বোচ্চ পদাধিকারি উপস্থিত থাকবেন। তার সঙ্গে এই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা থাকবেন। অথচ বিষয়টি অনেকেরই এখনও অজানা। এই বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল সাঁওতাল কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী সভাপতি নরেশকুমার মুর্মু বলেন, ‘আদিবাসী–সাঁওত𓄧ালদের নিজেদের ভাষা, কৃষ্টি তুলে ধরা এবং সাংবিধানিক অধিকার, লিপি, সংস্কৃতি সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা হবে কনফারেন্সে। কথা হবে বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো বিষয় নিয়েও।’ এখানেই সকলে যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে।