- আনাসা বিবি।
- আছি স্যার!
- মুসুর শেখ।
- এই তো আছি স্যার!
এক পুলিশ আধিকারিক তাঁর হাতে ধরা তালিকা থেকে নাম ডাকছেন। তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েক'শ মানুষ। তাঁদের চোখে উৎসুক্য। উঁকি-ঝুঁকি মেরে তালিকা দেখার চেষ্টা। যিনি একটু দূরে, ত🏅িনি কান পেতে শোনার চেষ্টা করছেন তাঁর নাম ডাকা হল কি না। মঙ্গলবার সাতসকালে এই দৃশ্যই ছিল লাভপুর-বুনিডাঙা গ্রামে। আদালতের নির্দেশে ঘরে ফেরানো হল গ্রামের ঘর ছাড়াদের। প্রায় কয়েকশ গ্রামবাসী ১২ বছর পর তাঁদের ভিটেতে ফিরলেন।
২০১০ সালে এক গ্রাম্য বিবাদের জেরে উতপ্ত হয় লাভপুরের নবগ্রাম এলাকা। ঘটনায় তিনজনকে পিটিয়ে মারারও অভিযোগ ওঠে। 🎃থানায় একাধিক ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে এলাকার দাপুটে নেতা মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তাঁর ভয়েই ভিটে-মাটি ছেড়ে🍒 গ্রামবাসীরা পালিয়ে গিয়েছেন অভিযোগ ওঠে।
তাঁদের গ্রামে ফেরানোর ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে একট👍ি মামলা হয়। সেই মামলাতেই আদালত নির্দেশ দেন ঘরছাড়াদের অবিলম্বে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। 𝔉১৬ মের মধ্যে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে হবে।
(পড়তে পারেন। জল তুলতে কারও ভেঙেছে দাঁত, ফেটেছে কপাল-ঠোট-নাক, জেরবার মালদার♒ এই গ্রাম)
সেই নির্দেশে মেনে সাত সকালে তালিকা নিয়ে গ্রামে পৌঁছে যায় পুলিশ। তালিকা থেকে নাম ডাকা শুরু করে। চলে নামের পাশে টিক দেওয়ার কাজ। ঘরে ফেরা এক গ্রামবাসী বলেন,'আমাদের পরিবারের লোকেরা মার্ডার। তাই আমরা গ্রাম ছ𝄹াড়া ছিলাম। পুলিশ ঘরে ঢোকায়নি। এবার আদালতের নির্দেশে পুলিশই আমাদের গ্রামে ঢোকালো।'
বারো বছর কেটে গেলেও এখন আতঙ্ক কাটেনি। তাঁদের ভয়, ফের যদি হামলা হয়। তবে পুলিশ যখন তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে, তখন সেই ভয়🎃 অনেকটাই কেটেছে বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভিটেই গিয়ে অনেক দেখেন তাঁদের তালা দেওয়া দরজায় মরচে ধরেছে। তালা ভেঙে তাঁদের ঘরে ঢুকতে হয়। ঘরে পা রেখে ছোট্টু শেখ, মুসুর শেখ, জালিম শেখ, মালু বিবিদের চোখ জলে ভরে যায় চোখ ।