ছাত্র সংখ্যা তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় সম্প্রতি বাঁকুড়ার বেশ কয়টি এমএসকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে সম্প্রতি খবর সামনে এসেছিল। তবে রাজ্য বিধানসভায় স্কুল বন্ধ নিয়ে বড় দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার বিধানসভায় তিনি জানিয়েছেন, কোনও স্কুলে একজন পড়ুয়া থাকলেও সেটি বন্ধ করা হবে না। সেই স্কুল চালু থাকবে। এর পাশাপাশি মিড ডে মিলে তিথি ভোজন নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রসꦦ্তাব নিয়েও সমালোচনা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অভিষেকের ‘ভূত তাড়াও’ বৈঠকে ব্রাত্য ওয়েবকুপা! নেপথ্য কারণ কি♎ যাদবপুর?
এদিন বিধানসভায় শিক্ষা বাজেটে জবাবী ভাষণে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ𝓡্যায় নিজেই বলেছেন যে কোনও স্কুলে একজন পড়ুয়া থাকলেও তাকে পড়ানো রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। তাই কোনও ছাত্র ছাত্রী যদি বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়তে চায় তাহলে সেই স্কুল বন্ধ করা যাবে না। প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রাথমিক এবং উচ্চ⛎ মাধ্যমিক স্তরে অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়াদের সংখ্যা কম। অথচ শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা সেই তুলনায় বেশি। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্যত্র প্রশাসনিক বদলি করেছে শিক্ষা দফতর। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা চলছে।
স্কুল সংযুক্তিকরণের বিষয়ে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। মঙ্গলবারের শিক্ষা বাজেটে আইএসএফ নওশাক সিদ্দিকী বলেন, রাজ্যে একজন পড়ুয়া রয়েছে এমন স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৩০০০-এর বেশি। আবার উল্টোদিকে, একজন শিক্ষক শিক্ষিকা আছে এমন স্কুলের সংখ্যা ৬০০০- এর বেশি। তিনি জানতে চান, পার্শ্ব শিক্ষকদের স্থায়ী শিক্ষকদের সমান বেতন দেওয়া হবে কি না? এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সমকাজে সমবেদনের নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবিতে আন্দোলন চলে আসছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা। তবে ব্রাত্য ব꧅সু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। সমকাজে সমবেতনের বিষয়টি পার্শ্ব শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ শিক্ষক এবং পার্শ্ব শিক্ষকদের পোস্টই আলাদা। এ প্রসঙ্গে তাঁদের জন্য রাজু সরকারের একাধিক পদক্ষেপের 🐽কথা জানান ব্রাত্য।