রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের বলে অভিযোগ ওঠে। আর এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আজ, বুধবার গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে রাজ্য পুলিশ বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আজ নির্দেশ দেন, ওই ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে পুলিশ। তবে আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া যাবে না।
এদিকে আজকের এই নির্দেশে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কারণ তাঁর দাবি মেনে নেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশের উপরই আস্থা রেখেছে আদালত। তবে কনভয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ কর্মীদের বিরুদ্ধেও কোনও কড়া পদক্ষেপ এখনই করা যাবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন ধার্য করা হয়েছে। নিহত যুবকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল চণ্ডীপুরে? তারিখটা ছিল ৪ মে। সময় রাত ১০টা। দিঘা–নন্দকুমার জাতীয় সড়কের উপর চণ্ডীপুরে বিরোধী দলনেতা কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল ভৈরবপুরের বাসিন্দা ইসরাফিল খানের। তার পরই বিরোধী দলনেতার কনভয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সোচ্চার হন মৃতের বাবা সফিরউদ্দিন খান। এই ঘটনা নিয়ে চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে শুভেন্দুর কনভয়ের এক চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। যার আজ শুনানি ছিল।