বর্ষা এলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে বেহালার বিস্তীর্ণ অংশ। বেহালা কলকাতা পুরসভার অধীনে এলেও এই চ🌠িত্র বদলায়নি। বছরের পর বছর বর্ষায় একই ছবি দেখা যায় বেহালায়। যার মূল কারণ হল দুর্বল নিকাশি ব্যবস্থা। এবার সেই জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে বেহালা। নিকাশি ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ সেখানে অনেক দিন ধরেই চলছে। সেই কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: ল্যান্সডাউন মার্কেট পরিদর্শনে কলকাতা পুরসভা, সংস্কার নিয়ে জটিলত༺🐭া কাটাতে উদ্যোগ
শুক্রবার ‘টক টু ♑মেয়র’ অনুꦑষ্ঠানে সখেরবাজারের এক বাসিন্দা মেয়রকে বর্ষার সময় বেহালার জলমগ্ন অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জল জমা রুখতে যাতে বর্ষার আগে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে মেয়রের কাছে আর্জি জানান। এরপরেই মেয়র বেহালায় নিকাশি ব্যবস্থার প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা কেইআইআইপিকে প্রকল্পের কাজ জুলাই মাসের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেন।
একইসঙ্গে কাজে বিলম্ব হওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মেয়র। সখেরবাজারের ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন, প্রতি বছর বর্ষাকালে বেহালার বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। হাঁটু সমান জলের মধ্য দিয়ে মানুষকে চলাচল করতে হয়। অথচ, নিকাশি ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের কাজ সেভাবে এগোচ্ছে না। কলকাতা পুরসভার একজন আধিকারিক জানান, সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন মতিলাল গুপ্ত রোড, এমজ🔴ি রোড এবং শকুন্তলা পার্ক-সহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে কেইআইপর অধীনে কলকাতা শহরের নিকাশি 🅷ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে। এরজন্য এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে ১৬০০ কোটি তহবিলের মধ্যে বেশিরভাগ বরাদ্দ করা হয় বেহালার নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য। কিন্তু, বছরের পর বছর বিলম্বিত হওয়ার ফলে কাজ পিছিয়ে যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ের অধীনে শিলপাড়া, শকুন্তলা পার্ক, সখেরবাজার, উপেন ব্যানার্জি রোড এবং জেমস লং সরণির কিছু অংশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ চলছে। তবে এই কাজ চলার ফলে জল জমার সমস্যা আরও বেড়েছে। তাই দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।