মা কাজ করেন পার্লার💎ে। সেখানেই কাজ করত এক নাবালিকা। ওই মহিলাকে ‘কাকিমা’ বলে ডাকত। আর এই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ওই মহিলার ছেলে বলে অভিযোগ। এই কাকিমাকে বিশ্বাস করে তাঁর সঙ্গেই বাড়িতে গিয়েছিল নাবালিকা। অভিযোগ, সেখানেই খাবারে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়। আর তখনই লাগাতার তাকে ধর্ষণ করে পার্লারে কর্মরত ওই মায়ের ছেলে। গত ১৬ তারিখ হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর মাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃতরা।
ঠিক কী ঘটেছে হরিদেবপুরে?🌟 স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বয়স ১৭। ওই যুবকের মা পার্লারে কাজ করেন। এই মহিলার সঙ্গে বিউটিশয়ন কোর্স করত নির্যাতিতা। একদিন তাকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করা হয়। সেখানে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করা হয় বলে অভিযোগ মা–ছেলের বিরুদ্ধে। মায়ের মদতেই লাগাতার তিনদিন ধরে ধর্ষণ করে ওই যুবক বলেও অভিযোগ। অভিযোগ, ওই বাড়িতে তাকে কিছু খেতে দেওয়া হয়েছিল। তারপরই কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে সে। তখন ওই মহিলার ছেলে ধর্ষণ করে। একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদেবপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মা ও ছেলেকে। এই মহিলার সঙ্গে বিউটিশিয়ান কোর্স করত ওই কিশোরী। আর মহিলার ছেলে এমবিএ’র ছাত্র। বাড়িতে ডেকে মাদক জা🎶তীয় কিছু খাইয়ে আচ্ছন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর লাগাতার ধর্ষণ করে ওই মহিলার ছেলে। এ𒉰ই ঘটনায় সরাসরি মহিলার মদত ছিল। তিনি এইসব দেখেও কোনও প্রতিবাদ করেননি। বরং ছেলেকে সহযোগিতা করেছিলেন।
ঠিক কী অভিযোগ নির্যাতিতার? পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, এই ঘটনার রেশ কাটিয়ে উঠতে অনেকটা সময় লাগে। তাই অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়। ওই মহি🏅লা বাড়িতে খাওয়াবে বলে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর খাবার দিলে তা খেয়ে কেমন শরীর খারাপ লাগে। আর একটা আচ্ছন্ন ভাব আসে। তখন ওই মহিলার ছেলে সুযোগ নিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে। বাধা দেওয়ার শক্তি না থাকায় অত্যাচার সহ্য করতে হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে হরিদেবপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ৩২৮ খাবারে নেশার দ্রব্য মেশানো, পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মা ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রে๊ফতার করা হয়।