লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও বাংলার ২৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি বিজেপি। সুতরাং অনেক কেন্দ্রেই বিজেপি কর্মীরা দেওয়ালে পদ্মফুলের ছবি এঁকে বসে আছেন। তার মধ্যে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং জলপাইগুড়ি তো আছেই। এই আবহে জনতার দরবারে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে। বহু আসনে কাকে টিকিট দেওয়া হবে সেটা নিয়েই মীমাংশা হচ্ছে না। আর তাই নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এখানে এসে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন তাঁরা। তবে কোনও রফাসূত্র বেরিয়েছে কিনা সেটা সময় বলবে।
এদিকে সূত্রের খবর, অশোক রোডের পুরো কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। এবার বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত করে ফেলা হবে বাংলায় বাকি ২৩টি আসনে প্রার্থীদের নাম। আসলে প্রথম দফায় ২০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেও অস্বস্তিতে পড়তে হয় আসানসোল নিয়ে। তাই আর যাতে এমন অবস্থা তৈরি না হয় তার জন্য সতর্ক বিজেপি। এখন অবশ্য বলিউড গায়ক কৈলাশ খেরকে ভাবা হয়েছে আসানসোলের জন্য। যদিও চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপির জাতীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে হাজির থাকবেন। সুকান্ত–শুভেন্দু ছাড়া অমিতাভ চক্রবর্তী ও সতীশ ধন্দ বৈঠকে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: আসন সমঝোতা নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে কংগ্রেস, উদ্যোগী ভূমিকা বাম শিবিরে
অন্যদিকে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপির এমন ল্যাজে–গোবরে অবস্থাকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যে কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি এখনও প্রার্থীর ঠিক করতে পারেনি সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস মাইক বেঁধে প্রচার করছে, জেতা তো অনেক দূরের কথা, বিজেপি প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না। দেবশ্রী চৌধুরীকে দমদম থেকে দাঁড় করাতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু অপর পক্ষ বলছে, এখানে শীলভদ্র দত্তকে দেওয়া হোক। এমন অবস্থা অন্যান্য কেন্দ্রেও বলে সূত্রের খবর। তাই প্রার্থী ঠিক করা কঠিন হয়ে পড়ছে। কীর্তি আজাদের বিপরীতে আর এসএস আলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী করতে রাজি নয় বিজেপি। দার্জিলিং নিয়েও একই অবস্থা।