কলকাতা পুরনিগমের সমবায় নির্বাচনে (কো-অপারেটিভ সোসাইটি) নিরঙ্কুশ ও একচেটিয়া জয় পেল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। এবারের এই নির্বাচনে খাতাই খুলতে পারল না বাম, কংগ্রেস। জোড়া ফুলের প্রার্থীরাই সবক'টি আসনে জয়যুক্ত হলেন। এতে শাসক শিবিরে খুশির হাওয়া বইলেও নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছে বামেরা।
কলকাতা পুরনিগমের সমবায় নির্বাচনে মোট আসন রয়েছে ২৩টি। যার মধ্যে ১১টি আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ, ওই ১১টি আসনে কোনও প্রার্থীই দাঁড় করাতে পারেনি বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। বাকি ১২টি আসনে আজ (রবিবার - ১৮ মে, ২০২৫) ভোটগ্রহণ করা হয়। সেই প্রক্রিয়া সারা হয় পার্ক সার্কাসের একটি স্কুলে। ফলাফল প্রকাশ করতেই দেখা যায়, সবক'টি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে, এই নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। যেদিন নির্বাচন ঘোষণা করা হয়, সেদিন থেকেই শাসকশিবিরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছিল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। এমনকী, এ নিয়ে আদালতে মামলাও রুজু করে তারা। যার জেরে আদালতের নির্দেশে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ৷ কিন্তু, তারপরও সবক'টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা।
জয়ের পর এই বিষয়টিকেই তুলে ধরেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, 'অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল৷ তাও বিরোধীরা ২৩টির মধ্যে ১১টি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি৷ তাদের আসলে সংগঠন বলে কিছু নেই। আগে প্রত্যেকটি আসনে প্রার্থী দিক বিরোধীরা৷ তারপর অভিযোগ করতে আসবে।'
অর্থাৎ ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ একবাক্যে খারিজ করে দিয়েছেন শোভনদেব। এদিন ভোটের ফল বেরোনোর পর দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে তিনিও আবির খেলায় মাতেন। সকলকে মিষ্টিমুখ করান। অন্যদিকে, কলকাতা পুরনিগমের ভিতরেই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেয় বাম শ্রমিক সংগঠন।