রাজ্যে বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষকের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার সকালে তিনি বলেন, ভোটের রাজনীতি করতে বাংলাদেশিদের এরাজ্যে এনে রাখছে তৃণমূল। এমনকী তৃণমূলকে দেশবিরোধী বলেও উল্লেখ করেন দিলীপবাবু।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এটা তো ঠিক যে তৃণমূল বাংলাদেশিদের নিয়ে এসে এখানে রাখা ও থাকা - খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এর আগেও সিমি বা আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক ধরা পড়েছিল। এসে মাদ্রাসায় শেল্টার নেয় ওরা। শিক্ষক হয়ে যায়। সেই পরিচয়ে থাকে। আবার ইমাম হয়ে যায়। তৃণমূল তাদের ইমাম ভাতাও দেয়। বাংলাদেশিরা এসে এখানে ইমামভাতা, বিধবা ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সব সুবিধা নিয়ে নিচ্ছে। বাংলার সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। তারা আবার ওবিসি সার্টিফিকেটও পেয়ে যাচ্ছে। সরকারি চাকরিও পেয়ে যাবে। আজকে তাই বাংলাদেশের বিরোধিতা করতে পারছে না ওরা। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে ওরা চুপ ছিল কারণ, ওখান থেকে ভোটার আসছে। যেমন কমিউনিস্টরা আজকে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলছে। যখন যুদ্ধ হচ্ছে তখন পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছে। এরা চিরদিনই দেশবিরোধী। সময় সময় প্রকাশ পায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইকো পার্কের পিছনে বস্তি তৈরি হয়ে গেছে। যেখানে যেখানে সরকারি জায়গা সব বসে যাচ্ছে। এরা কারা? সব মুসলিম। এরা ভোটার কার্ডও পেয়ে যাচ্ছে। এরা ভোটে জেতাচ্ছে। পুরোটাই রাজনীতি।’
তৃণমূলের কাছে দেশের থেকে রাজনীতি বড় বলে মন্তব্য করে দিলীপবাবু বলেন, ‘তৃণমূল বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও বলবে না, পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও বলবে না। মুসলিম ভোটের জন্য। যেহেতু পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে। অ্যান্টি মুসলিম হয়ে যাবে তাই তারা যাবে না। এদের কাছে দেশ নয়, সমাজ নয়, রাজনীতি বড়। এদের চিনে রাখুন এই সময়।’