Delhi vs Uttarakhand Ranji Trophy 2024: প্রথম তিন ম্যাচের দু'টিতে হেরে দিল্লি সংগ্রহ করে মোটে ১ পয়েন্ট। অবশেষে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নেমে প্রথম জয়ের খোঁজ পায়।
টানা ব্যর্থতা আর বিতর্কে জেরবার দিল্লিকে একার হাতে ম্যাচ জেতালেন হিম্মত সিং। মোহালিতে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে দিল্লির ব্যাটিং ভরাডুবির দিকে তাকালে হিম্মত সিংয়ের একক লড়াইকে কুর্নিশ জানানো ছাড়া উপায় নেই।
যে ম্যাচে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৭ রানে অল-আউট হওয়া দল দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ রানে ৫ উইকেট হারায়, ঘুরে দাঁড়িয়ে তাদের জয় তুলে নেওয়া অবাক করার মতো ঘটনা সন্দেহ নেই। ক্যাপ্টেন একা কুম্ভ হয়ে কীভাবে লড়াই চালান, বোঝা যায় একটি পরিসংখ্যানেই।
দ্বিতীয় ইনিংসে দিল্লি ৯ উইকেটে ২৬৪ রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দেয়। তার মধ্যে একা হিম্মত সিংয়ের সংগ্রহ ১৯৪ রান। দলের বাকি ৯ জন ব্যাটার মিলে সংগ্রহ করেন সাকুল্যে ৭০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে দিল্লির প্রথম ছয় জন ব্যাটারের পাঁচজন শূন্য রানে মাঠ ছাড়েন।
মোহালিতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৪৭ রানে। যশ ধুলের ৪৭ ছাড়া প্রথম ইনিংসে বলার মতো রান করতে পারেননি দিল্লির আর কোনও ব্যাটসম্যান। শূন্য রানে আউট হন প্রিন্স যাদব ও ক্যাপ্টেন হিম্মত সিং।
পালটা ব্যাট করতে নেমে উত্তরাখণ্ড প্রথম ইনিংসে ২৩৯ রানে অল-আউট হয়। প্রথম ইনিংসে উত্তরাখণ্ডের আদিত্য তারে ৮৩, অবনীশ সুধা ৬৪ ও স্বপ্নিল সিং ৪৭ রান করেন। দিল্লির নভদীপ সাইনি ৪টি ও হৃত্বিক শোকিন ৩টি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৯২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে দিল্লি। তারা ১১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরে উইকেটকিপার লক্ষ্যয়কে সঙ্গে নিয়ে হিম্মত সিং ভরাডুবির হাত থেকে উদ্ধার করেন দিল্লিকে। দু'জনে মিলে যোগ করেন ১৮২ রান। শেষে লক্ষয় আউট হন ৪৩ রানে। হিম্মত নিশ্চিত ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। তিনি ২৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২১৭ বলে ১৯৪ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে আউট হন।
দিল্লি ৯ উইকেটে ২৬৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করলে প্রথম ইনিংসের লিড বাদ দিয়ে জয়ের জন্য উত্তরাখণ্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৭৩ রানের। তবে শেষ ইনিংসে উত্তরাখণ্ড অল-আউট হয় ১৬৫ রানে। ৭ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে জয় তুলে নেয় দিল্লি।
উত্তরাখণ্ডের অখিল রাওয়াত ৬৩ রান করেন। আদিত্য তারে করেন ৩৬ রান। দিল্লির হিমাংশু চৌহান দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯ রানে ৫টি উইকেট তুলে নেন। ৩টি উইকেট নেন হৃত্বিক শোকিন। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা হন হিম্মত সিং।