অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির এক বিধায়কের বিরুদ্ধে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকে ইভিএম ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল। সম্প্রতি, একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে তাতে বিধায়ক পি রামকৃষ্ণ রেড্ডির বিরুদ্ধে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ সামনে আসতেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ꦰএই ঘটনায় বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
আরও পড়ুন: অন্ধ্রপ্রদেশে ভোট পরবর্তী হিংস꧟া, গণনার পরেও ১৫ দিন বাহিনী রাখার নির্দেশ EC-র
যদিও পঞ্চম দফার নির্বাচনে এই ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ উঠেছে ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোটে ইভিএম ভাঙচুর করাꦐ হয়েছিল। অন্ধপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির বিধায়ক পি রামকৃষ্ণ রেড্ডি মাচারলা বিধানসভা কেন্দ্রের ২০২ নম্বর বুথে। এছাড়াও ওই বিধানসভা এলাকায় আরও একাধিক বুথে ভাঙচুর চালানো হয়। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছে। পালনাড়ুর জেলা নির্বাচন আধিকারিক ভাঙচুরের এই ভিডিয়ো ফুটেজ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ🐬। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার মুকেশ কুমার মীনা এই ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে তদন্তের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং তেলুগু দেশম পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নারা লোকেশ অভিযোগ করেছেন♏, মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির দলের বিধায়ক ভোটে পরাজয়ের ভয়ে ইভিএম নষ্ট করেছে। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এই ভাঙচুরের ভিডিয়ো শেয়ার🌌 করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর দলের বিধায়ক ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ভাঙচুর করেছেন। আমি তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে তিনি ভাঙচুর চালিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফার ভোট থেকেই অন্ধপ্রদেশে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে। তারপরে ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের তিন জেলা। তার মধ্যে পালনাড়ু হল একটি। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন নির্বাচন কমিশন। জেলার পুলিশ সুপারদের সরিয়ে দেওয়ার পাশাপ♛াশি একাধিক পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও ভোট গণনার ১৫ দিন পর সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।