অবশেষে জামিন পেলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতꦰ্রী নুসরত ফারিয়া। ১৮ মে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল পর্দার ‘শেখ হাসিনা’ নুুসরতকে। এরপর ১৯ মে আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে অভিনেত্রীকে জেলে পাঠিয়েছিল। ১ দিন জেলে কাটানোর পর আজ মঙ্গলবার (২০মে) ছিল ফারিয়ার জামিনের আবেদনের শুনানি। অবশেষে জামিন পেলেন নুসরত।
মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নুসরতকে জেলে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশের আদ🐻ালত। আর এর ঠিক এক দিনের মাথায় জামিন পেলেন 'ঢাকাই' সিনেমার নায়িকা নুসরত ফারিয়া। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার সকালে অভিনেত্রীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। একথা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানান ফারিয়ার আইনজীবী মো🌼হাম্মদ ইফতেখার হোসেন।
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার এই অভিনেত্রীকে হত্যাচেষ্টাꩵর মামলায় গ্রেফতারের পর গত দুদিন ধরে তীব্র সম🍃ালোচনার মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে। এমনকি এই গ্রেফতারি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও।
আ🎉রও পড়ুন-খুনের মামলায় ঢাকা থেকে গ্রেফতার নুসরত ফারিয়া, আওয়ামি লিগের ঘনিষ্ঠ বলেই কি কোপ?
ফারুকী সোমবার বলেন, ‘নুসরত ফারিয়ার গ্রেফতার বিব্রতকর। তিনি বলেন, আমাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রধান কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা। আমি সাধারণত চেষ্টা করি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজের বাইরে কথඣা বলি না। কিন্তু আমার তো একটা পরিচয় আছে, আমি এই ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ ছিলাম এবং দুই দিন পর সেখানেই ফিরে যাব। সেক্ষেত্রে আমারদের জন্য, নুসরত ফারিয়ার গ্রেপ্তার 🔯বিব্রতকর একটা ঘটনা হয়ে থাকল।’
নুসরতের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিন♛েত্রী আজমেরী হক বাঁধন লেখেন, ‘কী লজ্জার বিষয়! যাঁরা ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে তাঁদের সঙ্গে এই মেয়েটির কোনো সম্পর্ক নেই। আমি বর্তমান পরিস্থিতি এবং ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই 🥂ঘটনাটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বাংলাদেশের নামী পরিচালক আশফাক নিপুন লেখেন, ‘এভাবেই দিনে দিনে প্রকৃত খুনী এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা দুর্বল করতে অন্যদের সফট টার্গেট করা হয়ে আসছিল এবং করা হচ্ছে। এটাকে আর যাই হোক🎃, সংস্কার বলে না সরকার। হত্যাচেষ্টার যে মামলা করা হল এবং যে হত্যার সময় তিনি দেশেই ছিলেন না, সেই অভিনেতা নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতার এবং কারাগারে প্রেরণ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই ইঙ্গিতই দেয়। আমরা জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার চাইছিলাম। কোনরকম প্রহসন চাই নাই, এখনো চাই না। চিহ্নিত অপরাধীদের পালিয়ে যাওয়া/পালাতে দেয়া এবং ঢালাও গায়েবী মামলাবাজির নাটক বন্ধ করেন।’