দাদাগিরির মঞ্চে এবার সুস্বাদু খাবারের স্বাদ। সৌরভের সঞ্চালনায় জন🌠প্রিয় এই শোয়ের মঞ্চে হাজির কলকাতার খ্যাতনামা খাবারের হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকরা। ব্যারাকপুরের দাদা-বৌদির বিরিয়ানি থেকে কসবার রেস্তোরাঁ রোস্টেড কার্ট (Roasted cart)-এর মালিক, এসেছিলেন কলেজস্ট্রিটের জনপ্রিয় পাইস হোটেল ‘মহল’-এর মালিকও। দাদাগিরিতে তাঁদের নানান মুহূর্ত ও সৌরভের সঙ্গে কথোপকথনে তাঁদের ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।
'দাদাগিরি' নতুন প্রোমোতে দেখা গেল, মাটির থালায় সাজানো কলেজ স্ট্রিটের বিখ্যাত পাইস হোটেল 'মহল'-এর নানান বাঙালি পদ। তাতে রয়েছে, ভাত, ডাল, আলুভাজা, আলুপোস্ত, শুক্তো, মাছের ডিমের বড়াౠ, পোস্তর বড়া, ইলিশ মাছ, চাটনি, সহ আরও কত কী! সেগুলি দেখিয়ে সৌরভকে বলতে শোনা গেল, ‘এই সেই পাইস হোটেলের খাবার, ১৯১৭ সাল থেকে শুরু, বড় বড় মনীষী, বিখ্যাত, সাকসেসফুল মানুষরা উত্তর কলকাতার এই পাইস হোটেলে খাওয়া-দাওয়া সারতেন।’ এরপরই সৌরভ খাবারগুলি দেখিয়ে বলেন, ‘এখানে যেꦏমন ফিসফ্রাই আছে, দাদা ফেবারিট পোস্তর বড়া আছে’ বলেই টপ করে তুলে মুখে পুড়ে দেন একটা বড়া। বলেন, ‘একটা নিতেই হবে, এতো না খেলে হবে না…।’ তারপর ফের মাছের দিকে দেখিয়ে বলেন, ‘এই তো চিংড়ি মাছ, এই মাছটা কী’। উত্তর এল, ‘ইলিশ মাছ’। তারপর দেখালেন, মাংস, চাটনি, চিতল মাছ, আর সঙ্গে বাঙালির প্রিয় ভাত, পোস্ত আর আলুভাজা।'
এদিন দাদাগিরি-র মঞ্চে নিজেদের ব্যবসা শুরুর ইতিহাস, শুরুর পিছনের গল্প তুলে ধরেন খ্যাতনামা এই রেস্তোরাঁ মালিকরা। রোস্টেড কার্ট রেস্তোরাঁর মালিক দেবাংশু দে জানান, ব্যবসার বয়স যখন ১ বছর, তখন তাঁর দোকান পুড়ে গিয়েছিল। রাতে একবার তাঁর কাছে খবর আসে, দোকানে আগুন লেগেছে। তারপর দমকল এসে সেই ৩ বাই ২ ফুটের দোকানটা দু-টুকরো করে দেয়। আর তখন থেকে নিজের দোকানের নামকরণ করেন ‘রোস্টেড কার্ট’। দেবাংশু বলেন, ‘আমি পোড়া গাড൲়িতে পোড়া মাংস বিক্রি করি। আজও আমি সেই গাড়িটা ঠিক করাই নি, ৫ বছর হল, ওটা সেই পোড়াই আছে।’
আবার দাদাগিরি সিজন-১০-এর এই পর্বেই উঠে 🌟আসে ব্যারাকপুরের সেই বিখ্যাত দাদা-বৌদির বিরিয়ানির দোকান শুরুর গল্প। সেখানে দোকান মালিক ফাঁস করেন দাদা-বৌদি নামকরণের র﷽হস্য।