দুর্গাপুজো শেষ, এবার কালীপুজো, দীপাবলি উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। তবু একবার কথায় কথায় পুরনো দিনে,♑ আর পুজোর গানে ফিরে গেলেন গায়ক শ্রীকান্ত আচার্য। পুরনো গান যে গায়কের বড়ই পছন্দ! শুধু গানই নয়, বাঙালি শ্রোতাদের নিয়েও কথা বলেছেন শ্রীকান্ত আচার্য।
সম্প্রতি আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গান নিয়ে নান𒆙ান কথা বলেছেন শ্রীকান্ত। তিনি পুরনো গানই বেশি 'কচলান', শ্রোতাদের কাছে এমন প্রতিক্রিয়ায় কেমন লাগবে? এমন প্রশ্নে গায়ক সাফ জানিয়ে দেন তাঁর ভালোই লাগবে। শ্রীকান্ত আচার্যের প্রশ্ন, ‘কোন লাইনের পাশে গেলে সেটা পুরনো গান, আর কোন লাইনের পাশে গেলে সেটা নতুন গান, সেটা কে ঠিক করে দেবে! রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলে সেটা তো তবে ১০০ বছর আগের🎃 লেখা।’
সাক্ষাৎকারে এপার বাংলা আর ওপার বাংলা, দুই বাংলার শ্রোতাদের নিয়েই কথা বলেছেন শ্রীকান্ত আচার্য। তাঁর কথায়, ওপার বাংলা💞য় তিনি গান গাইতে গিয়ে বুঝেছেন, সেখানকার শ্রোতা বেশি আবেগপ্রবণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সারা পৃথিবীতে থাকেন, তবে সবখানেই ওঁর গান শোনার ক্ষেত্রে একই রকম আবেগপ্রবণ। আর সেক্ষেত্রে এপার বাংলার শ্রোতাদের নিয়ে শ্রীকান্ত আচার্যের মন্তব্য, ‘এপার বাংলার বাঙালিরা একটু ঘেঁটে যাওয়া টাইপের। শ্রোতাদের একটা বড় অংশের রুচির কোনও অভিমুখ নই। চচ্চড়ি টাইপের🃏। তাঁরা কী চান নিজেরাই জানেন না।’
সাক্ষাৎকারে কবীর সুমন এবং তাঁর আপত্তিকর কাণ্ডকারখানা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় শ্রীকান্ত আচার্যকে। এক্ষেত্রে তাঁর সাফ কথা, কবীর সুমনের গানবাজনাไর বিষয়টাই তাঁকে আকর্ষিত করে, তাঁর ভালো লাগে। গানের দুনিয়ায় কবীর সুমনের কী অবদান, তাঁর কাছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়ে দেন শ্রীকান্ত। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কী করছেন সেবিষয়ে মাথা ঘামাতে চান না, সাফ কথা শ্রীকান্ত আচার্যের।
শিল্পী মাত্রই একটু অন্যরকম, নিষিদ্ধ জীবনেও যাতায়ত থাকে। এমন মানুষদের কেমন চোখে দেখেন? এমন প্রশ্নে শ্রীকান্ত আচার্যের সাফ কথা, তিনি কাউ🍰কে কেমন চোখে দেখার কে! কারোর এমন জীবন থাকতেই পারে, এবিষয়ে তাঁর কোনও♏ বক্তব্য নেই বলে জানিয়ে দেন গায়ক। বহু শিল্পীর জীবনেই অনেক প্রেম থাকে, আর শ্রীকান্ত আচার্যের? একথায় তিনি সাফ জানিয়ে দেন গানই তাঁর একমাত্র প্রেম।