দিন কয়েক আগেই উর্বশী রওতেলা এবং ঋষভ পন্থের বিবাদ প্রকাশ্যে আসে। নাম না করেই নেটমাধ্যমে একে অপরকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফের ঋষভের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় অভিনেত্রীকে। কী বললেন তিনি?
উর্বশী জানিয়ে দেন, ঋষভকে নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না। চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, 'কোনও ফালতু কথা বলব না। শুধু প্রশ্নের সোজা উত্তর দেব। তাই অহেতুক কোনও মন্তব্য করব না।'
ইনস্টাগ্রামে উর্বশী-ঋষভের বিতণ্ডার কথা কারও অজানা নয়। পরোক্ষ ভাবে একে অপরকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। 'প্রাক্তন'কে কোনও বার্তা দিতে চান? প্রশ্ন করা হয় উর্বশীকে। হাত জোড় করে তিনি বলেন, ‘আসলে কিছুই বলতে চাই না। আমি দুঃখিত। সত্যিই দুঃখিত।’
দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে ঋষভের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন উর্বশী। তিনি বলেন, নিউ দিল্লিতে এক ব্যক্তি হোটেল লবিতে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। পুরো নামটি প্রকাশ্যে না আনলেও ঘটনাটি বর্ণনা করতে গিয়ে সেই ব্যক্তিকে 'আরপি' বলে সম্বোধন করছিলেন উর্বশী। এই আরপি যে আসলে ঋষভ পন্থ, তা বুঝে নিতে বিশেষ মাথা খাটাতে হয় না।(আরও পড়ুন: 'উর্বশী কে? আমি চিনি না', নাসিমের মন্তব্যে হাসির খোরাক নায়িকা, তড়িঘড়ি এল সাফাই)
উর্বশীর সাক্ষাৎকারের সেই অংশটুকু ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়তেই একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দেন ঋষভ। অভিনেত্রীর নাম না নিয়ে তাঁর উদ্দেশে লেখেন, 'মানুষ একটু জনপ্রিয়তা আর শিরোনামে আসার জন্য কী না করে! নামডাকের জন্য এই লোভ দেখে কষ্ট হয়। ঈশ্বর ওদের মঙ্গল করুন'। এখানেই থেমে যাননি তিনি। হ্যাশটেগ দিয়ে লেখেন, 'মেরা পিছা ছোড়ো বহেন'। বাংলায় যার অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, 'আমার উঁচু ছাড়ো বোন'। আরও একই হ্যাশট্যাগে লেখেন, 'ঝুট কি ভি লিমিট হোতি হ্যায়' অর্থাৎ মিথ্যা বলারও একটা সীমা আছে।(আরও পড়ুন: ‘ছোটু ভাইয়া তুমি বরং ব্যাট বল..’, উর্বশীর মন্তব্যের পর নতুন রহস্যময় পোস্ট ঋষভের)
চুপ থাকেননি উর্বশীও। ঋষভের এই স্টোরির প্রত্যুত্তরে একটি স্টোরি দেন তিনি। ঋষভকে ‘কুগার হান্টার’ বলে খোঁচা দেন তিনি। অভিনেত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁর 'প্রাক্তন' বয়সে বড় মহিলাদের প্রতি দুর্বল।