পরবর্তী খবর
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Reverse walking health Benefits: মর্নিং ওয়াকের সময়ে সামনে দিকে নয়, পিছন দিকে হাঁটুন, লাভ হবে ১০ গুণ বেশি
ওজন কমানোর জন্য, সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই সকালে হাঁটেন। মর্নিং ওয়াকের বহু ধরনের সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি এই সুফলের মাত্রা ১০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে ফেলা যায়? এবং সেটি সহজেই।
হালে ফিটনেস বিশেষজ্ঞ লোরি শেমেক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন, সামনে দিকে ১০০০ পা হাঁটলে যতটা লাভ, পিছন দিকে ১০০ পা হাঁটলে ততটাই লাভ। অর্থাৎ সামনে দিকে হাঁটার চাইতে পিছন দিকে হাঁটলে লাভ ১০ গুণ বেশি।
সম্প্রতি আমেরিকার University of Cincinnati Gardner Neuroscience Institute-এর কয়েক জন গবেষক তাঁদের গবেষণায় দেখিয়েছেন, যাঁরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা যদি দিনের কিছুটা নির্দিষ্ট সময় পিছন দিকে হাঁটেন, তাহলে তাঁদের পরবর্তীকালে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে এবং স্নায়ুর উন্নতি হয়।
কী কী উপকার হতে পারে পিছন দিকে হাঁটলে?
- প্রথমেই যে লাভটি হয়, সেটি হল মস্তিষ্কের। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিছন দিকে হাঁটলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। স্নায়ু অনেক দ্রুত কাজ করে।
- যাঁদের বাতের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা পিছন দিকে হাঁটলে, সেই সমস্যা কমে। হাঁটু এবং গাঁটের ব্যথা অনেকখানি কমে যেতে পারে এর ফলে।
- চিকিৎসক অঙ্কুর ফাতারপেকার এক সাক্ষাৎকারে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, পিছন দিকে হাঁটলে হৃদযন্ত্রেরও উপকার হয়। এতে হৃদযন্ত্রের গতির মধ্যে ছন্দ আসে।
- পিছন দিকে হাঁটলে মেদ ঝরার মাত্রায় বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
- হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া অন্য এক সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক সৌরভ গোয়েল জানিয়েছেন, পিছন দিকে হাঁটলে রক্তচাপের মাত্রা বেশ কমে। তাছাড়া যাঁরা ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত পিছন দিকে হাঁটলে এই সমস্যা কমে।
- দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি হয় এর ফলে। এমনই বলছেন কোনও কোনও চিকিৎসক।
- যাঁদের হাতে সময় কম, তাঁরা সামনে দিকে না হেঁটে মর্নিং ওয়াকের সময়ে পিছন দিকে হাঁটতে পারেন। কারণ কম সময়ে এতে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।