Women’s Day 2025:আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরলেন ছয় নারীর কাহিনি। ছয়জনের ভিন্নধর্মী লড়াইয়ের গল্প এই দিন প্রধানমন্ত্রী পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এই ছয়জনের জীবনযাত্রার কথাই এই দিন প্রধানমন্ত্রীর পোস্টে দেখা গেল। এই ছয় মহিলারা হলেন চেন্নাইয়ের বৈশালী রমেশবাবু, দিল্লির ডক্টর অঞ্জলি আগরওয়াল, নালন্দার অনিতা দেবী, ভুবনেশ্বরের এলিনা মিশ্র, রাজস্থানের অজৈতা শাহ এবং সাগরের শিল্পী সোনি।
এলিনা মিশ্র এবং শিল্পী সোনি -এলিনা মিশ্র এবং শিল্পী সোনি দুই মহিলা বিজ্ঞানী। বর্তমানে তাঁরা অত্যাধুনিক গবেষণা এবং প্রযুক্তি পরিচালনার কাজে নিযুক্ত। নারী দিবসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেল তাঁদের ছবি। প্রসঙ্গত, এলিনা মিশ্র মুম্বাইয়ের ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের (বিএআরসি) একজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী। অন্যদিকে শিল্পী সোনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-এর একজন মহাকাশ বিজ্ঞানী।
আরও পড়ুন - পদে পদে স্ট্রেসের ফাঁদ, সুখ কাড়ছে হাজার রোগ, জীবন তবে কীভাবে যাপনীয়
অজৈতা শাহ -ফ্রন্টিয়ার মার্কেটসের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অজৈতা শাহ ৩৫ হাজারেরও বেশি মহিলা উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল দুনিয়ায় ব্যবসার কাজে উন্নতি করতে সাহায্য করেছেন। যার জেরে বদল এসেছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও। তার উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি নারীদের স্বাবলম্বী ব্যবসায়ী হতে সাহায্য করেন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবার পরিবেশক হিসেবে কাজ করে তাঁর সংস্থা। গ্রামীণ অর্থনীতিতে যা উল্লেখযোগ্য অবদান তৈরি করেছে।
বৈশালী রমেশবাবু -দাবাড়ু বৈশালী ছয় বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ২০২৩ সালে তিনি দাবা গ্র্যান্ডমাস্টারের মর্যাদাপূর্ণ খেতাব অর্জন করেছেন। তার প্রতিভা এবং দৃঢ় সংকল্প বিশ্বের মঞ্চে দেশকে গর্বিত করেছে।
অনিতা দেবী -‘বিহারের মাশরুম লেডি’ নামে পরিচিত অনিতা দেবী ২০১৬ সালে মাধোপুর কৃষক প্রযোজক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। মাশরুম চাষের মাধ্যমে তিনি কেবল উন্নয়নই করেননি বরং শত শত গ্রামীণ নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেছেন। তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পথ প্রশস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন - ‘খনা’দের জিভ কেটে নেওয়া হয় আজও, বাংলার প্রথম নারী কবি মূক হয়েছিলেন যে ‘দোষে’
ডক্টর অঞ্জলি আগরওয়াল -সার্বজনীন অ্যাক্সেসিবিলিটির পক্ষে আন্দোলনের একজন আলোকবর্তিকা ডক্টর অঞ্জলি আগরওয়াল। তিনি সামর্থ্যম সেন্টার ফর সার্বজনীন অ্যাক্সেসিবিলিটির প্রতিষ্ঠাতা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে, তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক গতিশীলতা এবং মুক্ত অবকাঠামো নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। বিশেষ করে স্কুল এবং পাবলিক স্পেসে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশাধিকারের অবস্থা উন্নত করার জন্য তাঁর কাজ উল্লেখযোগ্য।