সোমবার থেকে সমস্ত ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার এমনই ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, কানাডা এবং মেক্সিকো থেকেও যে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানি করা হবে, তাতেও এই শুল্ক ধার্য করা হবে। এর আগে এই দুই দেশের পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত সাময়িক ভাবে স্থগিত করেছিলেন তিনি। এরই সঙ্গে ট্রাম্প আরও বললেন, আমেরিকা আরও অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করবে যা সপ্তাহের শেষের দিকে প্রকাশ করা হবে। (আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলায় স্টেশনের নাম দেখে সহ্য হল না ব্রিটিশ MP-র, জ💖বাবে ইলন মাস্ক বললেন…)
আরও পড়ুন: ২.৮৬ নয়, ২ হলেই হয়... গ্রেড ধরে ধরে জান🔯ুন 𝄹কত বাড়তে পারে সরকারি কর্মীদের বেতন
এদিকে এই সপ্তাহের ১২ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা যেতে চলেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন। এর আগেই অবশ্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, 'রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ' আরোপ করবেন তিনি। তাঁর এই ঘোষণা ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে, এই পদক্ষেপ 'সবাইকে প্রভাবিত করবে'। উল্লেখ্য, বিগত দিনে শুল্ক ইস্যুতে বারংবার ভারতের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এরই মাঝে সাম্প্রতিক বাজেটে ভারত মার্কিন বাইক হারলে ডেভিডসনের শুল্ক কমানোর ঘোষণা করে। এরই মাঝে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর দেখা হওয়ার কথা। এই আবহে ট্রাম্প ইঙ্গিত করেন, যানবাহনের ক্ষেত্রে এই রেসিপ্রোকাল শুল্কের ফোকাস বেশি থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। (আরও পড়ুন: SBI, PNB এবং অন্যান্য সরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে এখন কত সুদ মিলছে FD-🐽তে, রইল তালিকা)
আরও পড়ুন: এই ধরনের𒐪 জমি বিক্রিতে পাওয়া যায় কর ছাড়, ত𒐪বে রয়েছে কিছু 'শর্ত', জানুন বিশদ
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতের শুল্ক নীতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাম্প্রতিক অতীতে সিবিএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমরা এতটা বোকা দেশ নই যে এত বাজে করব। ভারতের দিকে দেখুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমার খুব ভালো বন্ধু। তবে তারা কী ক꧙রে দেখুন। মোটোরসাইকেলের ওপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। আমরা তাদের পণ্যের ওপর কোনও শুল্ক ধার্য করি না। যখন হারলে ভারতে বাইক পাঠায়, তখন সেগুলির ওপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়। আর ভারত যখন এত এত বাইক পাঠায় এখানে, তখন আমরা কোনও শুল্ক ধার্য করি না। আমি তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে বলেছিলাম, এটা ঠিক হচ্ছে না। আমার একটা ফোনেই হারলের শুল্ক হার ৫০ শতাংশ কাটছাঁট করা হয়েছিল। তবে আমি বলেছিলাম, এটা এখনও গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ৫০ শতাংশ বনাম শূন্য। তারা বলে যে এটা নিয়ে তারা কাজ করছে।' উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত হারলে ডেভিডসনের ওপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছিল। আর এবারের বাজেটে তা আরও কিছুটা কমানো হয়।