'স্ত্রী আমাকে ফোনে খুব বকেছেন।' চাল কেনা নিয়ে বিতর্ক মন্তব্য করে ক্ষমা চেয়েছেন জাপানের কৃষিমন্ত্রী তাকু এটো। বতমানে প্রধান খাদ্য উপাদান চালের আকাশছোঁয়া দামের জন্য লড়াই করছে জাপানের মানুষ। এই পরিস্থিতিতে চাল নিয়ে মন্তব্য করে ক্ষোভের মুখে পড়ছেন খোদ সে দেশের কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-অফিসে কাজের চাপ-ম্যানেজারের দুর্ব্যবহারই কি কারণ? বেঙ্গালুরুতে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার
রবিবার একটি রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে জাপানের কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে কখনও চাল কিনতে হয়নি।' এই বক্তব্যের ব্যাখ্যায় মন্ত্রী জানান যে, সমর্থকদের কাছ থেকে নিয়মিত উপহার হিসেবে চাল পেয়ে থাকেন তিনি। কিয়োদো নিউজ প্রথমে এটোর বক্তব্য প্রকাশ করে।পরে অন্যান্য সংবাদমাধ্যম এই বিষয় প্রচার করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। দেশজুড়ে চালের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে কৃষিমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দেয় জাপানের নাগরিকরা। এক্স পোস্টে এক ইউজার লেখেন, ‘আপনার সময় শেষ। দ্রুত পদত্যাগ করুন।’এরপরেই সোমবার প্রকাশ্যে জনগনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এটো বলেন, তিনি ভুল বলেছেন এবং হয়তো জনতাকে খুশি করার জন্য অতিরঞ্জিত মন্তব্য করেছেন।তবে তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা, সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। পাবলিক সম্প্রচারক এনএইচকেতে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রবিবার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এটো বলেন, ‘আমার তো এত চাল হয় যে বিক্রি করাও যায়।’ এই প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমাকে ফোনে বকেছেন। আমরা মাত্র দু'জন মানুষ, তাই সাধারণত ঘরে চাল থাকে। তবে, যখন ঘরে চাল শেষ হয়ে যায়, তখন তিনি বাজার থেকে চাল কিনে আনেন।'
আরও পড়ুন-অফিসে কাজের চাপ-ম্যানেজারের দুর্ব্যবহারই কি কারণ? বেঙ্গালুরুতে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার
চালের দাম নিয়ে এটোর মন্তব্য জাপানের ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষকে আরও উসকে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও তার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত উচ্চকক্ষ নির্বাচনের আগে অশনি সংকেত।রবিবার প্রকাশিত কিয়োদো নিউজের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ইশিবার জনপ্রিয়তা ২৭.৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা রেকর্ড গড়েছে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৯০ শতাংশ বলেছেন, চালের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সরকারের প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট নয়। গত এক বছরে জাপানের প্রধান খাদ্য চালের খুচরো দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এর পেছনে রয়েছে তীব্র গরমে ফসলের ক্ষতির কারণে অতিরিক্ত চাহিদা। সরকার গত মার্চ থেকে জরুরি মজুত থেকে চাল বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে দাম কমানোর উদ্দেশ্যে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তার প্রভাব তেমন পড়েনি।