রাজ্য–রাজনীতি এবং জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এখন প্রশান্ত কিশোর একটা নাম। তাঁর স্ট্র্যাটেজি এবং পরামর্শ তাঁকে ভোটকুশলীর তকমা সেঁটে দিয়েছে গায়ে। সবসময় যে তিনি সফল হয়েছেন এমন নয়। তবে বেশিরভাগ সময়ই সফল হয়েছেন রাজনীতির ময়দানে। তিনি নিজেও একটা দল গঠন করেছেন—‘জন সূরজ পার্টি’। ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাঁর দল। সেখানে কতটা সাফল্য উঠে আসবে সেটা সময়ই বলবে। তবে নতুন খবর হল, প্রশান্ত কিশোর বা পিকে এবার দায়িত্ব নিয়েছে টিভিকে দলের। আর তাই টিভিকে দলের নেতা বিজয়ের সঙ্গে দেখা করতে ওই রাজ্যে পাড়ি দেন পিকে।
চেন্নাইয়ে পৌঁছে টিভিকে দলের নেতা বিজয়ের সঙ্গে দেখা করেন পিকে। আর একটা বড় বৈঠকও করেন বলে সূত্রের খবর। ওই বৈঠকে বিজয় সরাসরি পিকে’র পরামর্শ এবং দেখানো পথে হাঁটতে চেয়েছেন। এমনকী প্রশান্ত কিশোরকে ‘স্পেশাল অ্যাডভাইজার’ করা হয়েছে টিভিকে দলের। সুতরাং অনেকদিন পর আবার ভোটকুশলী হিসাবে মাঠে নামবেন পিকে। বেশ কয়েকটি সফলতা রয়েছে পিকে’র সঙ্গে। এখানে ডিএমকে দলের হয়ে কাজ করেছিলেন কিশোর। ২০২১ সালে চেন্নাইয়ের মাটিতে জেতাতে সফল হন এই প্রশান্ত কিশোর। অন্ধ্রপ্রদেশেও সাফল্য পান তিনি। আর যে সাফল্য গোটা দেশ দেখে ছিল সেটা হল, বাংলার মাটিতে বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া রুখে দিতে সফল হন এই পিকে।
আরও পড়ুন: দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় চরম হেনস্থা নাট্যগোষ্ঠীর সদস্যদের, কেউ সাড়া দিল না
এখন নিজের দল খুলেছেন। বিহারে তা নিয়ে হইচইও ফেলে দিয়েছেন। মাঠে নেমে কাজ করতে শুরু করেছেন। তবে ভোটকুশলী হিসাবে কাজ করা থেকে সরে এসে ছিলেন। এবার আবার সেই দায়িত্ব নিলেন চেন্নাইয়ের মাটিতেই। বিজয়ের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠক করলেন। আর তারপর থেকে কাজ শুরু করে দিলেন পরামর্শ এবং তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে তৈরি করা স্ট্র্যাটেজি দিতে। তামিলনাড়ুর এখন যে অবস্থা সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন টিভিকে দলের নেতা বিজয়ের সঙ্গে। তবে এখন কোনও চুক্তি লিখিতভাবে হয়নি দু’পক্ষের মধ্যে বলে সূত্রের খবর।