যেভাবে সংগঠিত মানবপাচারচক্রের কবলে পড়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে শিশু-কিশোররা অপহৃত এবং পা🐟চার হয়ে ♋যাচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। মঙ্গলবার এই মর্মে গভীর চিন্তা প্রকাশ করে জরুরি পদক্ষেপ করল দেশের শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট স্থির করেছে, এই বিষয়ে প্রকৃত তথ্য অন্বেষণ করা হবে। তার জন্য 'তথ্য যাচাই' করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত জানতে চেয়েছে, ২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট কতজন শিশু ও কিশোর নিখোঁজ হয়েছে, তাদের কতজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং তাদের খুঁ💟জে বের করার জন্য জেলাস্তর পর্যন্ত কী ধরনের ব্যবস্থাপনা রয়েছে?
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে রুজু করা জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিত🍒ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দিষ্টভাবে উপরোক্ত নির্দেশগুলি দিয়েছে। যে বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়, তা 🐭নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায়। আদালতের তরফে বলা হয়, 'বিভিন্ন রাজ্যে অসংখ্য এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে একটি সংগঠিত আন্তঃরাজ্য পাচারচক্র রয়েছে, যারা শিশু ও কিশোরদের অপহরণ এবং পাচার করছে।'
আদালত আরও বলে, 'অপহৃতদের যাতে নিরাপদে পাচার করা যায়, তার জন্য বিশ্বস্ত লোকজন রয়েছে, যাদের মাধ্যমে অপহরণ করানো হয়। মামলাকারীর আবেদনে যে বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বꦍেগের। এতে একটি স্পষ্ট চিত্র পেশ করা হয়েছে।'
মামলাকারীদের হ𒉰য়ে আদালতে সওয়াল করে অভিজ্ঞ আইনজীবী অপর্ণা ভাট। তিনি অপহরণের পাঁচটি ঘটনা উল্লেখ করে নানা সমস্যার কথা বলেন✱। তিনি জানান, গত বছর উত্তরপ্রদেশে এই ঘটনাগুলি ঘটেছিল।
উত্তরপ্রদেশ থেকে নাবালক ও নাবালিকাদের অপহরণ করে ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের ম🃏তো রাজ্যে পাচার করে দ♍েওয়া হয়েছিল। এই পাচারচক্রে একাধিক মিডলম্যান বা দালালের উপস্থিতির কথাও বলেন আইনজীবী ভাট।
সংশ⛄্লিষ্ট বেঞ্চের অন্য সদস্য হিসাবে ছিলেন, বিচারপতি এসভিএন ভ🐼াট্টি। মামলায় আবেদনকারীর বক্তব্য শোনার পর দেশের সবক'টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দিষ্ট নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। ২০২০ থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া শিশু-কিশোরদের হিসাব ও তাদের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাওয়া হয়।
কেন ২০২০ সাল থেকেই এই হিসাব চাওয়া হল?
⛦আদালতের এই পদক্ষেপের নেপত্য়ে যথাযথ কারণ রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জাতীয়স্তরে তথ্য আদান-প্রদানের একটিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ মঞ্চ তৈরি করে। যার নাম দেওয়া হয়, ক্রাইম মাল্টি এজেন্সি সেন্টার (সংক্ষেপে, ক্রাই-ম্যাক)।
ক্রাই-ম্যাক গঠনের উদ্দেশ্য হল, দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তের পুলিশকর্মীদের মধ্যে গুরুতর এবং উল্লেখযোগ্য অপরাধের ত𝓰থ্যাবলী আদান-প্রদান আরও সহজ, দ্রুত ও নিয়মিত করা। এর ফলে মানবপাচার সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রেও ঘটনা ঘটার পর, তা নথিভুক্ত হওয়ার বা নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেই তথ্য় সমগ্র ভারতের পুলিশের কাছে পৌঁছে যায়।
সংশ্লিষ্টꦆ মামলায় কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করেন অ্যাডিশনাল সল♏িসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি। তিনি জানান, ২০১৫ সালে সরকারের তরফে খোয়া-পায়া নামে একটি পোর্টাল খোলা হয়েছিল। তারই সংযোজিত অংশ হিসাবে নয়া ব্যবস্থাপনা করা হয়।
অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলের দাবি, যদি কোনও শিশু বা নাবালক চারমাস বা তার বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকে (এই পোর্টাল অনুসার𝐆ে), তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই মামলাটির তদন্তভার সংশ্লিষ্ট জেলার পাচারবিরোধী ইউনিটের হাতে চলে যায়।
এরপরই মহামান্য আদালত নির্দেশ দেয়, ভারতের প্রত্যেকটি জেলায় আদৌ এই ইউনিট গড়া 𓆏হয়েছে কিনা, হলে তাদের হাতে কতটা ক্ষমতা রয়েছে এবং💮 তারা কেমন কাজ করছে, সেই সংক্রান্ত তথ্যও পেশ করতে হবে। খুব সম্ভবত, আগামী মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।