টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের অফিসের কর্মীরা হুমকি ফোনের কথা জানতে পেরেই ব্যাপক আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। দ্রুত তারা বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে আসেন। এদিন টিসিএস কোম্পানির বি ব্লকে বোমার হুমকি ফোন পাওয়া যায়। কর্মীরা বোমার হুমকি ফোন পাওয়ার পরেই পারাপ্পানা অগ্রহারা থানার পুলিশকে ফোনে বিষয়টি জানান।
টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের অফিসে বোমাতঙ্ক। প্রতীকী ছবি
বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ফোনকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল পড়ে গেল টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের অফিসে। কর্মীরা আতঙ্কে অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। বোম স্কোয়াডের কর্মীরাও ঘটনাস্থলে এসে তন্নতন্ন করে বোমা খোঁজেন অফিসে। কিন্তু কোথাও মিলল না বোমা। পরে জানা যায় আসলে সেটি ছিল একটি একটি ভুয়ো হুমকি ফোন। আর অন্য কেউ নয়, অফিসের এক প্রাক্তন কর্মীই হুমকি ফোন দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের অফিসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের অফিসের কর্মীরা হুমকি ফোনের কথা জানতে পেরেই ব্যাপক আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। দ্রুত তারা বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে আসেন। এদিন টিসিএস কোম্পানির বি ব্লকে বোমার হুমকি ফোন পাওয়া যায়। কর্মীরা বোমার হুমকি ফোন পাওয়ার পরেই পারাপ্পানা অগ্রহারা থানার পুলিশকে ফোনে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পারাপ্পানা অগ্রহারা থানার পুলিশের একটি দল। এছাড়াও বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডও ঘটনাস্থলে যায়। স্কোয়াড এবং ডগ স্কোয়াড দ্রুত অফিসে ঢুকে কোনও বিস্ফোরক রয়েছে কি না তা সন্ধানের জন্য ভিতরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। অফিসে চিরুনি তল্লাশি চালানোর পরেও সন্দেহজনক কোনও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। ফলে এটি একটি ভুয়ো ফোন ছিল বলেই অনুমান করেছিল পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে কোনও জঙ্গি সংগঠন নয়, ওই কোম্পানির প্রাক্তন এক কর্মী বোমার হুমকি ফোন করেছিলেন এবং তিনি একজন মহিলা।