সদ্য হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিজেপির প্রচার সভায় কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া তাঁর এক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন যোগী আদিত্যনাথ। বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সদ্য জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি পরবর্তী সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথের কোন অভিজ্ঞতা হয়েছে༺, তা হরিয়ানায় বিজেপির সভায় ব্যক্ত 💝করেন বিজেপির এই তাবড় নেতা।
সদ্য জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটের প্রচারের জন্য গিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছিল, সেই ঘটনার বিবরণ দেন আদিত্যনাথ। যোগী আদিত্যনাথ বলেন,'দু'দিন আগে আমি জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটের প্রচারের জন্য সেখানে ছিলাম। আমাকে একটি হেলিকপ্টার নিতে হয়েছিল সবাস্থল পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য। তবে আমি বꦯিমানবন্দর থেকে বের হতে পারছিলাম না প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল বলে। আমি যখন বিমানবন্দরের বিল্ডিংয়ের ভিতরে ছিলাম, তখন এক ভদ্রলোক এসে আমায় ‘রাম রাম’ বলে শুভেচ্ছা জানান। আমি কিছু বলিনি প্রথমে, আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিলাম, কারণ আমি সেখানে কাউকে চিনি না। কিন্তু তারপর যখন ওই ভদ্রলোক আবার বললেন, ‘যোগী সাহেব রাম রাম’ আমি ঘুরে তাকালাম, আমি দেখি তিনি একজন মৌলবী। আমি অবাক হয়েছিলাম একজন মৌলবীর মুখে রামরাম শুনে।'
ওই সভায় যোগী আদিত্যনাথ বলেন,'মৌলবীর মুখে রাম নাম… তখনই বুঝেছিলাম এটা ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির প্রভাব'। তিনি বলেন, 'দেখবেন একদিন ভারত মজবুত হবে, বিজেপি মজবুত হবে। এমনও দিন আসবে যেদিন সারা দেশ জুড়ে রাস্তায় রাস্তায় গাওয়া হবে হরে রাম হরে কৃষ্ণা।' এদিনের সভায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,ಞ তাঁর শাসনকালে ২০১৭ সাল থেকে উত্তর প্রদেশে কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি, যেখানে আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটত বলে তিনি দাবি করেন।
এর আগে শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে এক সভায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বার্তা দেন যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে তিনি বলেন, যদি পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে ক্রমাগত সমর্থন করতে থাক🥂ে, তাহলে পাকিস্তানের তিনটি টুকরো হয়ে যাবে। তিনি বলেন, পাকিস্তান দুটি কারণে বর্তমানে সমস্যায় রয়েছে, একটি সেদেশের নিজের কাদের ফলাফল, আরেকটি হল বালুচিস্তান। যোগী বলেন, বালুচিস্তান আর পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চাইছে না। কারণ সেদেশের সরকার বালুচিস্তানের বাসিন্দাদের বিদেশি বলে গণ্য করছে, বলে ভাষণে দাবি কর🌜েন যোগী।