মহেশতলায় মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে নাবালককে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মোস্তাফা কামাল ও তৌহিদ আলম নামে ওই ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ। ধৃতরা ওই কারখানারই কর্মী বলে জানা গিয়েছে। তবে আক্রান্ত কিশোরের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। খোঁজ পাওয়া যায়নি আক্রান্ত কিশোরের। কারখানার মালিক তথা মূল অভিযুক্ত শেহেনশাহ নামে যুবককেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মহেশতলা পুর এলাকার একটি জিন্স রং করার কারখানায় এক নাবালককে উলটো করে ঝুলিয়ে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার ভিডিয়ো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। জানা যায়, ওই কিশোরের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। মাস দেড়েক আগে দাদার সঙ্গে কলকাতায় কাজ করতে এসেছিল সে। মহেশতলায় শেহেনশাহ নামে এক যুবকের জিন্স রং করার কারখানায় যোগদান করে সে। একই জায়গায় কাজ করে তার দাদাও।
কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি তারা জানতে পারে কিশোরের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ আনে কারখানার অন্য ২ শ্রমিক। এর পর তাকে ৩ দিন ধরে বেধড়ক মারধর করে। কিন্তু কিশোর জানায় মোবাইল ফোন সে চুরি করেনি। কিশোরকে দিয়ে জোর করে চুরির কথা স্বীকার করাতে এর পর তাকে কারখানার একটি কড়িকাঠে উলটো করে ঝোলায় কয়েকজন শ্রমিক। তার পর তার হাতে ও পায়ে বিদ্যুতের তার ঠেকিয়ে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া হয়।
সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে যায়। তৎপর হয় রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ। অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে তারা। মঙ্গলবার রাতে কারখানার পাশে একটি ঘর থেকে মোস্তফা কামাল ও তৌহিদ আলম নামে ২ যুবকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কারখানার মালিক শেহেনশাহকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।
ওদিকে শাহেনশাহর পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় তিনি যুক্ত নন। মোবাইল চুরির অভিযোগ ওঠায় তিনি ওই কিশোরকে বকাবকি করেছিলেন মাত্র। ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার সঙ্গে তাঁর যোগ নেই।