তিনি যখনই কিছু করেন, তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তিনি রাজনীতিক জন বারলা। বিজেপিতে থাকাকালীন একটা সময় রাজ্যভাগ নিয়ে লাগাতার জিগির তুলেছিলেন। এরপর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখালেন। তখনও তাঁকে নিয়ে সংবাদমাধ্যম, সোশাল মিডিয়ায় টানা লেখালিখি হল। আর, এবার তিনি খবরের শিরোনামে উঠে এলেন নিতান্তই একটি 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' করে!
শোনা যাচ্ছে, মেটেলি সমতলে বিজেপির বড় নেতা তথা দলের মণ্ডল সহ-সভাপতি মেহবুব আলম ওরফে বুলবুলের বাড়ি গিয়েছিলেন জন। সঙ্গে ছিলেন নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর। গতকাল (সোমবার - ২৬ মে, ২০২৫) সকালে এই সম্মুখ সাক্ষাৎ হয় দুই পক্ষের মধ্য়ে। আর, তারপর থেকেই জেলা তথা উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে এ নিয়ে আলোচনা, জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এবার কি তবে বুলবুলও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন? ওই বিজেপি নেতা অবশ্য এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। উলটে তিনি বলেন, বহু দিন ধরে রাজনীতি করছেন, 'জনদা'র সঙ্গে একসঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। সেই কারণেই 'জনদা' তাঁর বাড়িতে 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' করতে এসেছিলেন!
একই সুর শোনা গিয়েছে জন বারলার গলাতেও। তিনিও বলেন, মূলত তাঁর হাত ধরেই বিজেপিতে ঢুকেছিলেন বুলবুল। এখন তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় ভিন্ন হলেও পারস্পরিক সম্পর্কে কোনও তিক্ততা নেই। সেই সৌহার্দ্যের কারণেই সোমবার দক্ষিণ ধুপঝোরা এলাকায় মেহবুব আলম ওরফে বুলবুলের বাড়ি যান তিনি।
তথ্য বলছে, দুই পক্ষের এই 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে। যদিও দুই তরফেই দাবি করা হয়েছে, তাঁদের এই সাক্ষাতে রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। তাহলে কী নিয়ে কথা হল? সেটাও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে, উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বুলবুল নিজে বিজেপি নেতা হওয়া সত্ত্বেও গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর সস্ত্রী সেলিনা বেগম কিন্তু ভোটে লড়েছিলেন নির্দল প্রার্থী হয়ে। এবং সেই নির্বাচনে তিনি জয়ীও হয়েছিলেন।