চুরি, ডাকাতি কিংবা জালিয়াতিতে যুক্ত নন, পেশাদার অপরাধীও নন। তবুও গুরুতর অভিযোগে জেল খাটছেন বহু মহিলা। তাঁদের একটা বড় অংশের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট এক ধরনের অভিযোগই উঠছে। এবং তা পরবর্তীতে প্রমাণিত হওয়ার ফলে তাঁরা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হচ্ছেন ও নিজেদের বাড়ি ঘর ছেড়ে সংশোধনাগারে বন্দিদশা কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।
এই ঘটনায় কপালে ভাঁজ পড়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের। আজ (মঙ্গলবার - ২৭ মে, ২০২৫) বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগার পরিদর্শনের আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন কমিশনের অন্যতম সদস্য অর্চনা মজুমদার। সংশোধনাগারে মহিলা বন্দিরা কেমন আছেন, সেসবই খতিয়ে দেখেন অর্চনারা।
এই সময়েই সামনে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, এই সংশোধনাগারে যত জন মহিলা বন্দি রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সিংহভাগই গার্হস্থ্য হিংসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেই কারণেই তাঁদের সাজা ভোগ করতে হচ্ছে। এমনকী, এই মহিলাদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি নিজে হাতে খুন করেছেন অথবা খুনের ঘটনায় (গার্হস্থ্য হিংসার জেরে) সরাসরি যুক্ত থেকেছেন!
পরিসংখ্য়ান অনুসারে - বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দি মহিলা কয়েদি রয়েছেন মোট ২৬ জন। এই ২৬ জনের মধ্যে ২০ জনই গার্হস্থ্য হিংসায় যুক্ত ছিলেন। তাঁদের মধ্য়ে অন্তত আটজন মহিলা বন্দি খুনের সাজা কাটছেন! জাতীয় মহিলা কমিশনের বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে - গার্হস্থ্য হিংসা কতটা ভয়ঙ্কর অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে! তার জেরে খুনোখুনি পর্যন্ত হচ্ছে। কিন্তু, আগে থেকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার তেমন অবকাশ থাকছে না।