চাকরিহারাদের জন্য এবার বার্তা দিলের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী আজ নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এটিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন’ বলে উল্লেখ করেছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘চাকরিহারা শিক্ষক ভাইবোনদের জন্য আজ বিকেল ৫টায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে, নবান্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন।’ আর এখান থেকে চাকরিহারাদের দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী। অতিরিক্ত পদ তৈরি করে নিয়োগের কথাও বলেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠকের কথা জানতে পেরেই আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন চাকরিহারা শিক্ষক–শিক্ষিকাদের অধিকার মঞ্চ। চিঠিতে একাধিক দাবির কথা উল্লেখ করেন চাকরিহারা শিক্ষক–শিক্ষিকারা। তাঁদের সাফ কথা, ‘যোগ্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। নতুন করে পরীক্ষায় বসতে চাইছি না। কারণ, অনেকেই অসুস্থ। নোটিফিকেশন না দিয়ে আইনগতভাবে বেতন চালু রেখে স্বপদে বহাল রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আদালতের অনুমতি নিয়ে সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি করে চাকরি অক্ষুন্ন রাখা হোক। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, ‘৩১ মে মধ্যে নোটিফিকেশন আমাদের করতে হবে। এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা আছে। এটা করতে বাধ্য হচ্ছি। চাকরিহারারা চাকরি পাক আমরা চাই। আমরা বলছি, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমরা রিভিউ পিটিশন করেছিলাম।’
আরও পড়ুন: ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ যুবককে সীমান্ত দিয়ে এপারে ঢুকিয়ে দিল বাংলাদেশ, ধরল বিএসএফ
এই বছরের এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি নিয়োগ মামলার রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল করে দেয়। তাই নতুন নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারকে তিন মাস সময় দেয়। পরে আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘যেহেতু আদালতের নির্দেশ তাই দুটি প্রসেসই চালু থাকবে। রিভিউ পিটিশনে ভাল ফল পেলে কাজ হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এটা করতে বাধ্য হচ্ছি। রিভিউতে যদি বিচার না হয় তাহলে নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে।’
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই গ্রুপ–সি কর্মীদের প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ–ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। যদিও ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘পরীক্ষা না দিলে চাকরিটাই থাকবে না। কিছু স্বার্থপর লোকের জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরীক্ষায় বসুন। অভিজ্ঞতার অগ্রাধিকার রাখা হচ্ছে। অন্য পদেও নিয়োগ করা হতে পারে। সুতরাং কাজ করে যান। বয়সের ছাড় দেওয়া হবে। আইন মেনেই সবটা করা হবে।’