তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট লুট রুখে দিয়ে এবার জয় এল মুর্শিদাবাদে সমবায় নির্বাচনে। মুর্শিদাবাদ জেলার দৌলতাবাদে মহারাজপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচনে ৪৩ টি আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনে জয়ী হয়েছেন সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রার্থীরা। রাস্তা অবরোধ, লাঠিসোটা নিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করে সিপিএম-কংগ্রেস প্রার্থীরা। দৌলতাবাদের মহারাজপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বাম–কংগ্রেস জোট। বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সমবায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল এখানে। কিন্তু বাম–কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দফায় দফায় সংঘর্ষ ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ।
এদিকে দৌলতাবাদে মহারাজপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বলে উঠেছে অভিযোগ। এমন পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয়। আজ রবিবার সকাল থেকেই এই সমবায় সমিতিতে ভোট লুট করতে রাস্তায় নেমেছিল তৃণমূল বলে অভিযোগ সিপিএমের। বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আইজুদ্দিন মণ্ডলের নেতৃত্বেই চলে সন্ত্রাস বলে অভিযোগ। গ্রাম থেকে ভোটারদের ভোট দিতে আসতে বাধা দেওয়া হয় বলে সিপিএম এবং কংগ্রেসের অভিযোগ। পুলিশের সামনেই চলে হামলা বলে অভিযোগ করেন সিপিএম–কংগ্রেস সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ঠিক কাজই করেছে তৃণমূল’, বিকাশের প্রশংসায় তোপ বিজেপির
অন্যদিকে এখানে ১০৫৬ জন ভোটারের এই নির্বাচনে ৪৩টি আসনের মধ্যে সিপিএম –কংগ্রেস জোট জয়ী হয়েছে ৩৯টি আসনে। আর মাত্র ৪টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয় যে এলাকায় র্যাফ নেমে যায়। আর এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করা হয়। পাঁচ বছর পর এই ভোটকে ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। এই সমবায় এতদিন সিপিএম–কংগ্রেস জোটের দখলে ছিল। আবার তা তাদের দখলেই এল। এই বছর ওই ৪৩টি আসনের মধ্যে সিপিএম ২১টি আসনে এবং কংগ্রেস ২২টি আসনে প্রার্থী দেয়।
আরও পড়ুন: দৌলতাবাদে সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চেহারা, লাঠিচার্জ করল পুলিশ
এছাড়া এই নির্বাচনে জিতে সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছে সিপিএম। সিপিএম দৌলতাবাদ এরিয়া কমিটির সদস্য জসিমুদ্দিন সরকার বলেন, ‘সাধারণ মানুষ সমবায় রক্ষা করতে, গরিব মানুষের অধিকার রক্ষা করতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়েছে। মানুষ নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। মানুষ আজ সম্মিলিতভাবেই ভোট লুট রুখে দিয়েছে। জয়ী হয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস।’ এই নির্বাচনে অশান্তি করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ১০ জনকে। ফলপ্রকাশ হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে সিপিএম–কংগ্রেস সদস্যরা।