অনেকেই ভাবেন পুরানো গাড়িটাকে বেচে দিয়ে এবার একটা ইলেকট্রিক ভেহিকেল কিনলে মন্দ হয় না। তেলের যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে আর পারা যাচ্ছে না। কিন্তু তারপরেই মাথায় চিন্তা আসে ইভির জন্য় তো চার্জিং পয়েন্ট দরকার। রাস্তায় যদি চার্জ ফুরিয়ে যায় তখন কী হবে?
তবে এবার দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট( TERI) একটি কমপ্রিহেনসিভ ইলেকট্রিক ভেহিকেল ড্যাশবোর্ডের সূচনা করল। এর মাধ্য়মে সবথেকে সুবিধা হবে যেটা, সেটা হল কলকাতা শহরে কোথায় কোথায় চার্জিং স্টেশন রয়েছে এটা অন্তত জানা যাবে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে।
আসলে ইভি কেনার কথা উঠলেই সবার আগে যে বিষয়টি মাথায় আসে সেটা হল কলকাতা শহরে চার্জিং স্টেশন ঠিক কোথায়। কারণ চার্জ ফুরোলে সবার আগে যেটা দরকার সেটা হল চার্জিং স্টেশন। চার্জ দরকার সবার আগে।
এবার ইভি চার্জিং সংক্রান্ত বিষয় জানার জন্য শুরু হল নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টাল। মোটামুটি ২০৫০ পর্যন্ত সময়সীমাকে ধরে এটা করা হয়েছে। কলকাতায় একটি এনার্জি কনক্লেভে এই পোর্টালের সূচনা করা হয়েছে। কলকাতার প্রতিবেশী যে সমস্ত জেলা রয়েছে হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা তাদের কথা মাথায় রেখেও করা হয়েছে গোটা বিষয়টি।
মোটামুটি ১৬৬টি চার্জিং স্টেশনের কথা উল্লেখ করা থাকছে এখানে। মোটামুটি ১৫০০০ রেজিস্টার্ড ইভির কথা বলা হচ্ছে। তবে এর বাইরেও অনেক রয়েছে। কারণ ই রিকশা আর ২৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায় যায় এমন ইভি এই তালিকার মধ্যে পড়ে না। শক্তি সাসটেনেবল এনার্জি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এটা করা হয়েছে। তবে ইভি চালকদের মতে কোথায় ইভির চার্জিং পয়েন্ট রয়েছে সেটা রাস্তাতেও চিহ্নিত করা দরকার। না হলে খুব মুশকিল হয়।
আসলে ইভি অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব। অনেকেই ভাবেন ইভি কেনার কথা। প্রাথমিকভাবে খরচ কিছুটা বেশি হলেও পরবর্তীতে তেলের খরচ থাকে না। এর জেরে গাড়ি চালানোর জন্য রোজকার যে খরচ সেটা অনেকটা কমে যায়। মূলত সেকারণেই অনেকে ইভি কিনতে চান। তাছাড়া এই ইভি অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব। পরিবেশকে অতিরিক্ত ক্ষতি করে না। এর জেরে গাড়ি কিনলে ইভি কেনার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি তরফেও ইভি বাস কেনা হচ্ছে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হল চার্জিং স্টেশন। সেগুলি ঠিক কতগুলি রয়েছে, কোথায় রয়েছে তা কতটা কার্যকরী তা নিয়েও নানা সংশয় থেকেই যায়।