এমনিতেই রবিবার রাত থেকে অঝোরে বৃষ্টি নেমেছে দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার সকালে কিছুটা কমলেও এখনই পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি। চলতি মাসের শেষের দিকে আরও দুটি ঘূর্ণাবর্তের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বর্ষণ হতে পারে। তার জেরে দুর্গাপুজোর সপ্তাহদুয়েক আগে আবারও ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। আবহবিদরা জানিয়েছেন, আগামী শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নাগাদ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। দিনতিনেক পরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যে ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ চিন সাগরের টাইফুনের প্রভাবে তৈরি হবে। যা একেবারে অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়। বরং কখনও কখনও দক্ষিণ চিন সাগরের কোনও টাইফুন বা নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে পড়লেও বঙ্গোসাগরে এসে নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে। সেই ধাঁচেই চলতি মাসের শেষের দিকে বঙ্গোসাগরে দুটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যে ঘূর্ণাবর্তের সম্ভাব্য অভিমুখ থাকবে বাংলা-ওড়িশা উপকূলের দিকে। উপকূলে ঢোকার আগে অনেকটা পথ অতিক্রম করার ফলে সেই ঘূর্ণাবর্ত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তবে এখনও সেই ঘূর্ণাবর্তের বিষয়ে আলিপুর আবহওয়া দফতরের তরফে নির্দিষ্টভাবে কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আপাতত পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। আদৌও নিম্নচাপ তৈরি হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।এমনিতে ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমি অক্ষরেখার দাপটে রবিবার রাত থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে লাগাতার চলেছে বৃষ্টি। সোমবারও অব্যাহত ছিল বর্ষণ। সোমবার সকাল পর্যন্ত আলিপুরে ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। মৌসম ভবনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৮ সালের পর সেপ্টেম্বরে দৈনিক সর্বোচ্চ বর্ষণের নিরিখে রেকর্ড তৈরি হয় কলকাতায়। মহানগর লাগোয়া সল্টলেকেও ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী জেলার ক্যানিংয়ে হয় ১১০ মিমি বৃষ্টি। বেলা বাড়তেও বৃষ্টিতে লাগাম পড়েনি। মাঝে কিছুটা বৃষ্টি কমলেও ফের রাতের দিকে শুরু হয় ধারাপাত। তার জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতা, দুই পরগনা, হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ অংশ। তবে হাওয়া অফিসে জানিয়েছে, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির মাত্রা কমে যাবে। তবে দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বুধবারও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আছে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে।