মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় নাম তুলে কলকাতার মুখ উজ্জ্বল করল লেকটাউনের বাসিন্দ অবন্তিকা রায়। মেধাতালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে সে। পরীক্ষার ফল ঘোষিত হতেই তাই রায় বাড়িতে খুশির হাওয়া। খুশি এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুও। কৃতী ছাত্রীর মনের কথা জানতেই তাকে 'চাকরির অফার' দিলেন তিনি!
আসলে এলাকার মেয়ে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে শুনেই তার সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী সুজিত বসু। অবন্তিকা বাকিদের মতো তাঁকেও জানায়, সে বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। একথা শুনেই মন্ত্রী তাকে বলেন, 'আমি হাসপাতাল করছি। তুমি আমার হাসপাতালে যোগ দিও।'
প্রসঙ্গত, অবন্তিকা রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা স্কুলের ছাত্রী। এবারের মাধ্যমিকে মোট ৭০০ নম্বরের মধ্যে তার প্রাপ্ত - ৬৮৮। সংবাদমাধ্যমকে অবন্তিকা জানিয়েছে, সে পড়াশোনা করতে ভালোবাসে। তা বলে শুধুমাত্র পড়াশোনা নয়, তার ভালোলাগা আর ভালোবাসার মধ্যে আরও অনেক কিছু রয়েছে।
যেমন - অবন্তিকা খেলাধুলো পছন্দ করে। গল্পের বই পড়তে ভীষণ ভালোবাসে। সত্যজিৎ রায়ের নানা সৃষ্টি থেকে হ্যারি পটার - সবই তার পড়া। নিজের অন্য পছন্দগুলোকেও সমান গুরুত্ব দেয় বলে অবন্তিকা কখনও দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি পড়াশোনা করে না। অবন্তিকা জানিয়েছে, সে যে ভালো রেজাল্ট করবে, এই বিষয়ে নিশ্চিত ছিল। তবে, সেটা যে এতটা ভালো হবে, আশা করেনি।
অবন্তিকার বাবা হেমন্ত রায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র। তিনি মেয়ের ফলের জন্য তাঁর স্ত্রী এবং স্কুলের শিক্ষিকাদেরই কৃতিত্ব দিয়েছেন। অবন্তিকার মা মুনমুন রায় এমএ, বিএড। তাই, বাড়িতে মেয়ের পড়াশোনার দিকে সম্পূর্ণভাবে তিনিই নজর রাখেন।