দুই বাংলাতেই জনপ্রিয় বাপ্পা মজুমদারের গান। ২২ মে বৃহস্পতিবার সকালে সঙ্গীতশিল্পীর বনানীর বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে বাড়িতে আগুন লাগার আঁচ পেয়েই সেখান থেকে অভিনেত্রী স্ত্রী তানিয়া হোসাইন ও দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান বাপ্পা।
বাড়িকে আগুন লাগার ঘটনার পর সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভোর ৫টায় বাড়ির নিচতলায় আগুন লাগে। ইন্টারকমে ফোন পেয়ে বাড়িতে থেকে বের হতে গিয়ে দেখেন চারিদিকে ধোঁয়া। এতেই তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আগুনের আঁচ তাঁর মুখে এসে লাগে। তবে বাপ্পা জানান, তিনি কিছুক্ষণ বারান্দায় বউ, মেয়েদের নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপরই গীতিকার শাহানা কবন্ধের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়।
এবিষয়ে বাপ্পা মজুমদারের কথায়, ‘আমাদের বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি, আমরা সবাই নিরাপদে আছি। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে অশেষ ধন্যবাদ, তারা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে কী যে হয়ে যেত, ভাবতেই শিউরে উঠছি! একটি বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা, এখনও ভাবতে গেলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। আমি এখনো মানসিক ট্রমা থেকে বের হতে পারিনি। এই ট্রমা থেকে বের হতে সময় লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছি। ভোরের রাস্তায় লোকজন কম ছিল, তাই বিনা বাধায় বিধায় ফায়ার সার্ভিস আসতে পেরেছিল। নইলে কী যে হতো!’
যদিও ঠিক কীভাবে বাপ্পা মজুমদারের আবাসনে আগুন লাগে, তার সঠিক কারণ এখনও জানান যায়নি। এই ঘটনার কথা জানতেই নেটজেনরা টেনেছেন জলের গানের রাহুলের বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনার কথা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তবে কী রাহুলের মতোই বাপ্পার বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল?