বরাবরই স্পষ্টবক্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন ঋষি কাপুর। সে কারোর বিষয়ে মন্তব্য করা হোক কিংবা নিজের পারিবারিক জীবন,ঋষির ' খুল্লামখুল্লা ' ব্যক্তিত্ব আর পাঁচজন বলি-তারকার থেকে তাঁকে আলাদা করে রেখেছিল। বিভিন্ন সময়ে করা তাঁর ওই নানা ' ঠোঁটকাটা ' মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হওয়ার পাশাপাশি আদায় করে নিত শ্রদ্ধা ও মুগ্ধতাও।এমনকি একেকসময় ছেলে রণবীরের ব্যক্তিগত জীবন, ফিল্মি কেরিয়ার নিয়েও তাঁর কাটা কাটা,মেদহীন,তীক্ষ্ণ মন্তব্য শুনে বিস্মিত হননি এমন শ্রোতা বিরল।সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে এই প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে দারুণ মজাদার এক তথ্য শেয়ার করলেন অভিষেক বচ্চন। অভিষেকের কথায়, ‘ ঋষিজীর সঙ্গে দিল্লি৬, অল ইজ ওয়েল’ এই দুটো ছবিতে কাজকরার সৌভাগ্য হয়েছিল। একবার শ্যুটিংয়ের দরুণ আমরা আউটডোরে শ্যুট করছি। সম্ভবত শিমলাতে ছিলাম। তো প্রায় প্রত্যেক সকালেই আমি ওঁনার ঘরে যেতাম দু'জনে একসঙ্গে কফি খাব বলে। আমি প্রায়ই দেখতাম ওই বিরাট ব্যক্তিত্বের মানুষটা নিজের ঘরে আয়েশ করে লুঙ্গি পরে আর চোখে ছোট্ট একটি চশমা লাগিয়ে বসে থাকতেন।কখনও বা এটা ওটা কাজ সারতেন। তো একদিন সকালে হোটেলে ওঁনার রুমে গিয়ে দেখি একমনে কী যেন করছেন। কী করছেন জিজ্ঞেস করাতে আমার দিকে তাকিয়ে কোনও ভণিতা না করে ঋষি আঙ্কল জানালেন বিভিন্ন নিউজ অনলাইন পোর্টালের গসিপ সেকশনগুলো উনি পড়ছেন।কারণ জিজ্ঞেস করাতে একমুহূর্ত সময় না নিয়ে মজা করে জানিয়েছিলেন, ছেলে রণবীর কাপুরের কীর্তিকলাপের সুলুকসন্ধান করতেই তাঁর এই গসিপ সেকশনগুলোয় ঢুঁ মারা!' অভিষেকের জবানে রণবীরের প্রসঙ্গে ঋষি তাঁকে বলেছিলেন,' একমাত্র এভাবেই তোমাকে আমি বলতে পারবো রণবীর কী করে বেড়াচ্ছে !'স্বাভাবিকভাবেই ঋষির এই ' নো ফিল্টার ' ব্যক্তিত্বে যে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলেন ' জুনিয়র বচ্চন ' সেকথাও নিজের বক্তব্য শেষে অকপটভাবে জানান তিনি। পাশাপাশি গোটা বিষয়টিও যারপরনাই তাঁর মিষ্টি লেগেছিল সেকথাও জানাতে ভোলেননি অভিষেক।