3 মিনিটে পড়ুন Updated: 09 Oct 2024, 10:30 AM ISTRanita Goswami
রোহিত রায়, দেবিনা ব্যানার্জি থেকে শুরু করে টিনা দত্ত, বাঙালি তারকারা এ বছর দুর্গাপুজোর পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুলেছেন।
টিনা দত্ত ও রোহিত রায়
দুর্গাপুজা, প্রতিবছর এই উৎসবের জন্যই তো অপেক্ষা করে থাকেন বাঙালিরা। তা তাঁরা নিজভূমে থাকুন কিংবা পরভূমে। এবারও ঠিক তাই। দুর্গাপুজোর আনন্দে ইতিমধ্যেই মেতে উঠেছেন বাঙালিরা। আবারও কলকাতার বাঙালি সেলেবদের মতোই মুম্বইতেও দুর্গাপুজোর আনন্দে মাতোয়ারা বাঙালিরা। আর এবার পুজোয় কী করছেন টিনা দত্ত, দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়, রোহিত রায়, নমিত দাস, সৃজিতা দে-রা?
১. কী বলছেন টিনা দত্ত
দুর্গাপুজো আমার কাছে সবকিছু। এইসময়টা আমরা দীপাবলির মতোই উপহার বিনিময় করি। আমরা একে অপরকে জামাকাপড় এবং নতুন জিনিস দিই, এটাই রীতি। পুজোর ঠিক আগে আগে ঘর পরিষ্কার করি, আর আমরা বাড়িতে পুজো করি, মা দুর্গাকে পদ্ম নিবেদন করি এবং প্রদীপ এবং মোমবাতি এসব জ্বালাই। আমি প্রতি বছর রানির (মুখোপাধ্যায়) দুর্গাপুজোয় যাই। ওখানে যেতে বেশ ভালোলাগে। এবার আমার মা এই শহরে আছেন, তাই ওকে নিয়ে প্যান্ডেলে যাব এটা ভেবে রেখেছি। তবে কলকাতার দুর্গাপুজো, থিম, প্যান্ডেল, সবকিছুই আমি খুব মিস করি। আর এটা একটা ফুড ফেস্টিভ্যালও বটে। বাসন্তী পোলাও, মাছের কারি, মটন কষা এবং এইসব খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। প্যান্ডেলের কাছে অনেক স্টল আছে, তাই আমার কাছে Fuchka, Egg Rolls আর Chicken Rolls আমার খুব প্রিয়। আমি অষ্টমীর অঞ্জলী আর ধুনুচি নাচে অংশ নিই, কারণ, এগুলো খুবই উপভোগ করি।
দুর্গাপূজাই আমাদের বাঙালিদের প্রধান উৎসব। তবে এগুলো এখন শুধুই স্মৃতি। আমরা নতুন জামাকাপড় পরতাম, সেসব পরে অবিরাম খেলাধুলো করতাম। বন্ধুদের সঙ্গে সারা রাত ঘুরে বেড়ানো, এইসময়টা কোনও বিধিনিষেধ থাকত না। তবে এই মুহূর্তে আমার কাছে দুর্গাপুজো একটা নস্টালজিয়া। কারণ আমি এখন এগুলো আমি বাচ্চাদের মধ্যে দিয়ে উপভোগ করি। রানি মুখোপাধ্যায়দের দুর্গাপুজোয় যাওয়ার প্ল্যান করছি। আমরা সবসময় বিজিতের পুজো দেখতে যাই কারণ এটা আমার বাড়ি থেকে সবচেয়ে কাছে। ভিড় তো আছেই, তবু ভিড়ের মধ্যে দিয়ে হেঁটে দুর্গা ঠাকুরের সামনে যাওয়া একটা অন্য আনন্দ। আর দুর্গা মায়ের চোখ দুটো কত সুন্দর আর প্রাণবন্ত হয়, ওটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর আমি নিশ্চয়ই কোনও প্যান্ডেলের ভিতরে গিয়ে ঝালমুড়ি খাব, এটা আমার ফেভারিট।