গত মাস থেকেই ক্রমাগত চর্চায় পৃথা চক্রবর্তী। সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের প্রাক্তন স্ত্রী। আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিভোর্সের ঘোষণা করে বসেন পৃথা। এরপর সুদীপ তা অস্বীকার করতে, মুছেও ফেলেন। তারপর একটি ডিভোর্সের কাগজ ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে দেখা যায়,সত্যি সত্যি ডিভোর্স হয়েছে সুদীপ-পৃথার। তারপর সুদীপ ভিডিয়ো শেয়ার করে জানান যে, পৃথার আচমকা পোস্ট করায় তিনি একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তবে সত্যি যে তাঁরা আইনি মতে আলাদা, সেটাও মেনে নেন।
আর এই ঘোষণার এক মাস কাটতে না কাটতেই, ডেটিং অ্য়াপে দেখা গেল পৃথাকে। এমনিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই দুই সন্তানের ছবি শেয়ার করেন তিনি। কদিন আগে প্রাক্তন স্বামীকে সঙ্গে নিয়েই ছেলের জন্মদিনও পালন করলেন ধুমধাম করে। তাহলেকি, নতুন করে জীবন শুরুর কথা ভাবছেন পৃথা?
সুদীপের প্রাক্তন স্ত্রী নিজেই তা করলেন খোলসা। ডেটিং অ্য়াপে নিজের প্রোফাইলের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখলেন, ‘সকলের জন্য সতর্কবার্তা। চারদিকে ভুয়ো প্রোফাইলের রমরমা…’ এতক্ষণে নিশ্চয়ই সবটা বুঝে গিয়েছেন। কেউ একজন পৃথার ছবি ব্যবহার করে, প্রোফাইল খুলেছে সেই ডেটিং অ্যাপে। পৃথা আরও লেখেন, ‘আমার অনুমতি ছাড়াই কেউ একজন ডেটিং অ্যাপে আমার ছবি ব্যবহার করেছেন। দয়া করে সতর্ক হোন। আর এরকম কিছু ঘটলেই অভিযোগ জানান।’
বলে রাখা ভালো, সুদীপ ও পৃথা যখন ‘ডিভোর্স-ঘোষণা’ নিয়ে করছেন নানা টালবাহানা, তখন কোর্টের একটি অর্ডার চলে আসে প্রকাশ্যে। সেখান থেকে দেখা যায় যে, সুডিভোর্স প্রসিডিংস অনেক আগে থেকেই চলছিল। আদালতের নির্দেশনামা অনুযায়ী, সুদীপ ও সঞ্চারি (পৃথার আসল নাম) ২০২২ সালের আগস্ট মাস থেকে আলাদা আলাদা থাকছিলেন। এমনকী আালতে গিয়ে দু’জনেই পরস্পরের সঙ্গে সংসার করার কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। যদিও সবটা আইনিভাবে শেষ হয় ২০২৫-এই।
যদিও সুদীপ স্পষ্ট করেছেন, আইনি ভাবে তাঁর আর স্বামী-স্ত্রী না হলেও, তা তাঁদের সম্পর্কে ছাপ ফেলতে পারেনি। দুই ছেলে বালি আর ঋদ্ধির দেখভাল করছেন একত্রে। হামেশাই দুই ছেলে আর প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে চলে যান সুদীপ। অভিনেতার দাবি, পৃথা ফেসবুকে পোস্ট করলে কেউ কখনো জানতে পারত না, ডিভোর্সের কথা। আলাদা হলেও, ভাব-ভালোবাসা নাকি আগের মতোই আছে!
জানা যায় যে, সোশ্যাল মিডিয়াতেই নাকি আলাপ সুদীপ ও পৃথার। পেশায় ওডিশি নৃত্যশিল্পী, পৃথার কাজল কালো চোখে মন হারান সুদীপ। পৃথাই দেন বিয়ের প্রস্তাব। ২৫ বছরের ছোট মেয়েকে হ্যাঁ করতে সময় নেননি চিরসখা-র ‘স্বতন্ত্র’। তারপর ২০১৫ সালে বিয়ে। দুই ছেলের মা-বাবাও হন দুজনে। কিন্তু বিয়ের বয়স ১০ হতে না হতেই, হল ছাদ আলাদা।