সময় নষ্ট বন্ধ করতেই প্রিমিয়র লিগের পরের মরশুম থেকেই সম্ভবত ৯০ মিনিটের পরিবর্তে ১০০ মিনিটের ম্যাচ করার ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন লিগ কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন এই বিষয়টি সামনে এসেছিল। ফিফার নির্দেশে রেফারিরা সচেষ্ট ছিলেন অযথা সময় নষ্ট বন্ধ করতে।
প্রিমিয়ার লিগে হয়তো ১০০ মিনিটের ম্যাচ।
শুভব্রত মুখার্জি: পরের মরশুমে প্রিমিয়র লিগে বড় পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা প্রবল। ফুটবল মাঠে অযথা সময় নষ্ট আর করা যাবে না। আর সেই সময় নষ্ট বন্ধ করতেই প্রিমিয়র লিগের পরের মরশুম থেকেই সম্ভবত ৯০ মিনিটের পরিবর্তে ১০০ মিনিটের ম্যাচ করার ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন লিগ কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন এই বিষয়টি সামনে এসেছিল। ফিফার নির্দেশে রেফারিরা সচেষ্ট ছিলেন অযথা সময় নষ্ট বন্ধ করতে।
প্রিমিয়র লিগের চলতি মরশুমে ৬২ টি ম্যাচের মধ্যে ৪৩ টি ম্যাচ ১০০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে খেলা হয়েছে। আর এই পরিসংখ্যানকে মাথায় রেখেই আইন প্রণয়নকারীরা পরের মরশুমে আইন বদলের ভাবনা নিয়েছেন। প্রতি ম্যাচে গড়ে ৫৫-৬০ মিনিট বল খেলার মাঠে থেকেছে। অর্থাৎ খেলা হয়েছে। অযথা সময় নষ্ট, ফুটবলার পরিবর্তন থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারণে প্রচুর সময় নষ্ট হয় ফুটবল ম্যাচে। আর সেই কারণেই ১০০ মিনিটের ম্যাচ করার কথা ভাবা হয়েছে। যাতে করে এই সমস্যাগুলো দূর করা যায়।
সময় নষ্টের বিষয়টি নিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্তিনো জানিয়েছিলেন, ‘আমরা সময় নষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই সমর্থকেরা ম্যাচটা উপভোগ করুন। কোনও বাধা বিঘ্ন ছাড়াই। আমরা শেষ বিশ্বকাপেও দেখেছি প্রতি ম্যাচেই গড়ে অতিরিক্ত ১০ মিনিট করে খেলা হয়েছে। আর ৬০ মিনিট মত মোটামুটি ভাবে খেলা হয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসা পেয়েছে। খেলার নিয়ম সার্বজনীন। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে, সারা বিশ্বে সর্বত্র সার্বজনীন ভাবে এই নিয়মগুলো মেনে চলা হয়। সময় নষ্টের ক্ষেত্রে নিয়মগুলো আমরা পৃথিবীর সর্বত্র এক ভাবে ব্যবহার হতে দেখিনি। কোনও কোনও লিগে ম্যাচ খেলা হয়েছে গড়ে ৫০ মিনিট। আবার কোথাও খেলা হয়েছে ৬০ মিনিট। এই বিষয়েই আমরা নজর দিতে চাই।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।