চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে ১০১ রানের নির্ভরযোগ্য একটি ইনিংস খেলেন শুভমন গিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে গিলের এই শতরানের ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কা এবং ৯টি চার। তাঁর এই দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হন শুভমন। নেটপাড়া অবশ্য মনে করে যে, গিলের সেঞ্চুরির পিছনে বড় অবদান রয়েছে কেএল রাহুলেরও। রাহুল তাঁর অর্ধশতরানের বলি দেন, যাতে শুভমন তাঁর শতরান পূরণ করতে পারেন।ভক্তরা মনে করেন, রাহুল আউট হলে হার্দিক পান্ডিয়া এসে বড় শট মারতেন এবং শুভমন গিলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে দিতেন না।
আরও পড়ুন: Champions Trophy-তে অভিষেকেই সেঞ্চুরি, ধাওয়ান-কোহলিকে ছাপিয়ে অনন্য নজির শুভমন গিলের
বাংলাদেশের দেওয়া ২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা এবং গিল দুর্দান্ত শুরুটা করেছিলেন। দু'জনে প্রথম উইকেটে ৬৯ রান যোগ করেন। তবে এই জুটি ভাঙার পর ম্যাচের গতি কিছুটা মন্থর হয়। ১৪৪ রানে চতুর্থ উইকেটের পতনের পর ম্যাচ কিছুটা থমকে গিয়েছিল। তবে কেএল রাহুল এসে শুভমন গিলকে ভালো ভাবে সমর্থন দেন। এবং দলকে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যান। রাহুল ৪৭ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট, জাহিরের নজির ভাঙার পাশাপাশি বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন শামি
কেএল রাহুল তাঁর হাফসেঞ্চুরিকে গুরুত্ব দেননি
ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন যে, কেএল রাহুল তাঁর হাফসেঞ্চুরির পরোয়া করেননি এবং সে কারণেই শুভমন গিল তাঁর সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে সক্ষম হন। যদি রাহুল আউট হতেন এবং হার্দিক পান্ডিয়া মাঠে নামতেন, তবে তিনি আক্রমণাত্মক শট খেলে গিলকে তাঁর সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে দিতেন না।
আরও পড়ুন: ফের ODI ম্যাচে টসে হারল ভারত, টানা ১১ বার, অবাঞ্ছিত রেকর্ড স্পর্শ, শেষ কবে টস জিতেছিলেন রোহিতরা?
একজন লিখেছেন, ‘কেএল রাহুল এর আগে ২০২৩ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির জন্য নিজের হাফসেঞ্চুরি বলি দেন, আর শুভমন গিলের জন্য এই ম্যাচে। তুমি এত নিঃস্বার্থকী ভাবে!’
আর একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ কেএল রাহুল, আপনি আউট হননি এবং আপনার আগে হার্দিক পান্ডিয়াকে ব্যাট করতে দেওয়া হয়নি।’
কেউ আবার লিখেছেন, ‘হার্দিক ভাই কিছু শেখো রাহুলের থেকে..’। কারও দাবি, ‘ভালো হয়েছে রাহুল ছিল, হার্দিক থাকলে…’
হার্দিকের স্বার্থপরতায় হাফসেঞ্চুরি মিস করেছিলেন তিলক
২০২৩ সালের অগস্টে ওয়েস্ট বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে হার্দিকের জন্য নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করতে পারেননি তিলক বর্মা। সেই ম্যাচ ভারত ৭ উইকেটে জিতেছিল। ভারতের জয়ের জন্য তখন মাত্র ২ রান দরকার ছিল এবং দুই ওভারেরও বেশি বাকি ছিল। আর তিলক তাঁর তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ৪৯ রানে ক্রিজে ছিলেন তিনি। সেই সময়ে সকলে ভেবেছিলেন যে, সেই সিরিজের ভারত অধিনায়ক হার্দিক হয়তো তিলককে অর্ধশতরান পূরণ করতে দেবেন। কিন্তু তিনি সেসব কিছু করেননি। তার পরিবর্তে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেছিলেন। এর পরেই ভক্তরা হার্দিককে ‘স্বার্থপর’ তকমা দেন।