মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়ক ভাগ্যে কি চেন্নাই সুপার কিংস ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? এই প্রশ্ন ম্যাচের আগে বেশ জোরালো ভাবে ছিল। তবে চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা এদিন বড্ড হতাশ করলেন। সুনীল নারিন- মইন আলিদের স্পিনের সামনে কোনও জবাবই যেন দিতে পারলেন না চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। চেষ্টা তাঁরা করেননি, তেমনটা নয়। তবে নাইটদের স𓆏্পিনাররাই অনবদ্য খেললেন। নিরাশ করলেন অধিনায়ক ধোনিও। চিপকের মাঠে আইপিএলে নিজেদের সব থেকে কম স্কোর করল চেন্নাই। ২০ ওভারে ১০৯/৯ করল ধোনির দল।
মইন আলি এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েই নজর কাড়লেন। তিনি প্রথমে আউট করেন ডেভন কনওয়েকে। সিএসকের এই ওপেনার করেন মাত্র ১২ রান। এরপর হর্ষিত রানার ওভারে আউট হন রাচিন রবীন্দ্র। এরপর সহজ ক্যাচ মিস করেন সুনীল নারিন। তিনি বিজয় শঙ্করের ক্যাচ মিড অফে দাঁড়িয়ে ছাড়লেন𓄧, এরপর বেঙ্কটেশ আইয়ারও সহজ ক্যাচ মিস করলেন। তবুও নাইটদের বোলারদের দুর্ধর্ষ পারফরমেন্সের 🅺সামনে দাঁড়াতে পারল না সিএসকে।
ব্যাটিং বিপর্যয় সিএসকের
রাহুল ত্রিপাঠীকে এদিন রুতুরাজের জায়গায় খেলানো হলেও তিনি করলেন ꧋২২ বলে ১৬ রান, মানে এক প্রকার টেস্ট খেললেন। বিজয় শঙ্কর ২১ বলে ২৯ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হলেন। অশ্বিনকে ফেরালেন হর্ষিত রানা। এরপর জাদেজাকে খাতাই খুলতেন দিলেন না সুনীল নারিন। বোঝ෴াই যাচ্ছিল তিনি ক্যাচ মিসটা পুশিয়ে দিতে চাইছেন। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার দীপক হুডাকে ফেরালেন বরুণ চক্রবর্তী।
বরুণ চক্রবর্তীর বোলিংয়ে 🅘দীপক হুডা আউট হওয়ায় মাঠে নামেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক। ধোনির সামনেই এদিন শর্ট লেগ, সিলি পয়েন্ট, স্লিপ লাগিয়ে দিয়েছিলেন আজিঙ্কা রাহানে। এই প্ল্যান কাজে লেগে গেছিল। কিন্তু আবারও ক্যাচের সুযোগ নষ্ট হয়। এক্ষেত্রে অবশ্য তা হাতে ছিল না। কিন্তু ধোনি শুরুতেই চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় ভুল করে ফেলেছিলেন।
মাত্র ১ রানে আউট ধোনি
এরপর তিনি খুব বেশিক্ষণ টিকলেন না উইকেটে। ৪ বলে ১ রান করে সুনীল নারিনের বলে আউট হয়ে গেলেন তিনি। এলবিডাব্লুর বিরুদ্ধে ডি🗹আরএস নিলেও তাতে লাভ হল না। ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগ, স্লিপ লাগালেন রাহানে ১৬তম ওভারে। যা দেখে কমেন্টেটাররা বলতে দিলেন, দেখে তাঁদেরও মনে হচ্ছে যেন টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে।
রুতুরাজের বিদায়ের পর যেখানে ধোনির নেতৃত্বে চেন্নাই সুপার কিংসের কামব্যাক করার কথা, সেখানেই কেকে🐼আরের স্পিন স্ট্র্যাটেজিতে চিপকের মাঠেই সিএসকে মুখ থুবড়ে পড়বে সেটা অনেকেই ভাবতে পারেননি। যার ফলে গোটা চিদাম্বরম স্টেডিয়ামই পুরো নিস্তব্ধ হয়ে যায়। নূর আহಞমেদ এসে ১ রান করলেন। সব থেকে অবাক বিষয় হল, শিবম দুবে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করলেও তিনি কোনও দায়িত্বই নিলেন না রান করার। মানে নিজে স্ট্রাইক নিতেই চাইলেন না। অবশ্য শেষ পর্যন্ত তিনিই সিএসকের সর্বোচ্চ রান করলেন এদিনের ম্যাচে। ২৯ বলে করলেন ৩১ রান।
স্পিনাররা দুরন্ত পারফর্ম করলেন
এদিনের ম্যাচে কেকেআরের হয়ে সেরা পারফর্মার নিঃসন্দেহে সুনীল নারিন। তিনি চার ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়🗹ে তুলে নিলেন ৩ উইকেট। মইন আলি ৫ ওভারে ২০ রান দিয়ে তুলে নিলেন ১ উইকেট। বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভা൩রে ২২২ রান দিয়ে তুললেন ২ উইকেট। বৈভব অরোরাও ২ উইকেট নিলেন। হর্ষিত রানাও মাত্র ১৬ রান দিয়ে তুললেন ২ উইকেট। মানে সব বোলারই এদিন সিএসকের ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়ে দিলেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১০৩ রান করল সিএসকে ৯ উইকেটে।
এর আগে সিএসকের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল-
২০১🐠৩ সালের ৫ মে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ওয়াঙ্খেড়ে স্টেডিয়ামে ৭৯ রান
২০২২ সা🐓লের ১২ মে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই ওয়াঙ্খেড়ে স্টেডিয়ামে 𝕴৯৭ রান করে সিএসকে
২০০৮ সালেꦉর ৪ মে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে চেন্নাই