সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের পর্ব–১ এবং পর্ব–২ বলে দুটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই বিজেপি নেতাদের অস্বস্তি চরমে পৌঁছেছে। একদিকে লোকসভা নির্বাচনের মরশুম অপরদ🧸িকে সন্দেশখালির গ্রামের মহিলারা বেরিয়ে এসে ফাঁস করে দিয়েছেন বিজেপির সাজানো ঘটনা। তাতে ভোটে ব্যাপক ধস নামবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তিনজন মহিলা ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে বলেছেন, তাঁদের সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে সই করিয়ে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। সেটাও তাঁরা জানতেন না। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে ভিডিয়ো’তে বলতে শোনা গিয়েছে ধর্ষণের ঘটনা সাজানো। এবার সন্দেশখালির এক মহিলা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চেয়েছেন।
সন্দেশখালির গোটা ঘটনা এবং যাঁরা আগে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন এখন বলছেন জোর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে সাজানো মামলা করা হয়েছে—সবটার তদন্ত করা হোক। তার মধ্যে সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো যা প্রকাশ্যে এসেছে তারও তদন্তের দাবি জ♐ানিয়েছেন ওই মহিলা মামলাকারী। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি চেয়েছেন বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চের কাছে। আজ, মঙ্গলবার বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের দায়ের করা মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, গ্রামবাসীরা ফুঁসতে শুরু করেছেন। আর তাই কলকাতা হꦜাইকোর্টে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন বলে মামলা করেন গঙ্গাধর কয়াল। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আবেদন জানিয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মক পোলিংয়ের সময় ব্꧃যালট চুরির অভিযোগ, গ্রেফতার বিজেপির এজেন্ট, শ্রীরামপুরে তরজা
এই আবহে সন্দেশখালি ঘটনার নতুন মোড় নেয় সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলা। এক মহিলা এই মামলা করেন। এই বিষয়টি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সোমবার অবগ🅷ত করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তকে। পর পর দুটি স্টিং ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় নিরাপত্তা চাইছেন গঙ্গাধর কয়াল। তাঁর দাবি, এই ভিডিয়ো এআই প্রযুক্তিতে তৈরি। যদিও এই দুটি ভিডিয়ো হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল যাচাই করেনি। তবে গঙ🐼্গাধর কয়াল মানহানির মামলা দায়ের কেন করলেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আজ, মঙ্গলবার দুপুর ২টোর সময় গঙ্গাধর কয়ালের করা মামলার শুনানি হবে।
গঙ্গাধর কয়াল যদি নিরাপত্তা পেয়েও যান তাহলে ভিডিয়ো ভুয়ো সেটা প্রমাণ হবে না। তার জন্যই সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। আর এই ভিডিয়ো যদি সত্য হয় তাহলে যাঁরা জড়িত তাঁদের জেল অবশ্যম্ভাবী। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভিডিয়ো দুটি সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। গত ২৯ 💜এপ্রিল সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। ইতিমধ🥃্যেই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর ৪ মে থেকে সন্দেশখালি ইস্যুতে পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে। কারণ প্রথম স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো সামনে আসে। তখন থেকেই হাওয়া ঘুরে যায়।