পরিচালক রাজাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের তথ্যচিত্র, ডেথ🌌 অফ ডেথ প্রিমিয়ার হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। যদিও করোনা সংকটের সুবাদে জুলাইতে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই চলচ্চিত্র উত্সব বাতিল হওয়া নিয়ে একটা আশঙ্কা রয়েই গিয়েছে,তবে কোনও কারণে ফেস্টিভ্যাল স্থগিত হলে গোটা বিশ্বে অনলাইনে প্রদর্শিত হবে ‘ডেথ অফ ডেথ’।
বারণসীর প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে এই ডকুমেন্ট্রি। পরিচালকের কথায়,'আমার কাছে একান্তই ব্যক্তিগত সিনেমা । গভীর শোকের মধ্যেও মৃত্যু কোথাও আমাকে অবাক করেছে । মৃত্যু ব্যাপারটা আসলে কি এবং এটার সঙ্গে যে রহস্য জড়িয়ে আছে তা জানার একটা অদম্য আগ্রহ তৈরী হয় ।সাধারণ মানুষের কাছে এ এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা হলেও এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মৃত💃্যুকে সেলিব্রেট করেন । মেক্সিকোতে এবং আমাদের দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী বারাণসীতে কিংবা কাশীতে।

এর আগেও মৃত্যু নিয়ে তিনটি ফিচার ফিল্ম ( ডেথ সার্টিফিকেট , শিবরাত্রি ও শববাহিকা ) বানিয়েছেন প্রয়াত পরিচালক বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই রাজাদিত্য।২০১৭ সালে ইন্দো -ফিনিশ যৌথ প্রযোজনায় ডেথ অফ ডেথ তৈরি করেন রাজাদিত্য। এতদিন পর মুক্তি পেতে চলেছে সেই ছবি,তাও টরেন্টোর মতো প্রেস্টিজিয়াস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। কোন ভাবনা থেকে এই তথ্যচিত্র? রাজাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন,'আসলে দশ মাসের ব্যাবধানে দাদ💝া আর বাবা'কে (সাহিত্যিক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়) হারানোর পর মৃত্যুকে নতুন ভাবে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করার তাগিদ অনুভব করি,সেই থেকেই ডেথ অফ ডেথের জন্ম।

পরিচালক এই তথ্যচিত্🎉রের মধ্যে দিয়ে এক অদ্ভূত বৈপরীত্য তুলে ধরতে চেয়েছেন।বাপ্পাদিত্য বললেন, 'হিন্দু পুণ্যার্থীরা বারাণসী আসে মোক্ষলাভের আশা নিয়ে।পুনর্জন্মের চক্র থেকে মুক্তি লাভ করতে। সমাজের তথাকথিত নীচু জাত ডোমের হাতে অগ্নি শিখা পেয়ে মুখাগ্নি করলে তবেই মৃত ব্যক্তি মোক্ষ লাভ করতে পারবেন, অথচ আশ্চর্যের বিষয় এই ডোমেদেরই মন্দিরে প্রবেশের অধিকার নেই।এই কন্ট্রাডিকশনটা তথ্যচিত্র ফ্রেমবন্দি করতে চেয়েছি'।