PMS-এ আক্রান্ত গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যায় ভুগছেন তিনি। আর একথা নিজেই জানিয়েছেন গায়িকা। ইতিমধ্যেই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে খাদ্য়াভাসে পরিবর্তন এনেছেন, নিয়মিত শরীরচর্চাও করেন তিনি। তারপরেও এই রোগ থেকে মুক্তি মেলেনি। ফেসবুকের পাতায় এবিষয়ে ঠিক কী লিখেছেন ইমন চক্রবর্তী?
ইমন লিখেছেন, ‘পিএমএস মেয়েদের খুবই গুরুতর সমস্যা। নিজের যত্ন নিন। ধ্যান করুন, ব্যায়াম করুন, ভালো করে খাওয়াদাওয়া করুন। আর যদি কিছু করতে ইচ্ছে না করে, তাহলে দয়া করে কিছু করবেন না কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন, তারপর কাজে ফিরে আসুন। আমি অনেক দিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছি। এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি এবং জানি, আমি প্রতিবারই এটা সামলে উঠতে পারবো। সকল মেয়েদের জন্য শুভকামনা রইল…।’
আরও পড়ুন-খুনের মামলায় ঢাকা থেকে গ্রেফতার নুসরত ফারিয়া, আওয়ামি লিগের ঘনিষ্ঠ বলেই কি কোপ?

ইমন চক্রবর্তীর এই পোস্টে তাঁর সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন বহু নেটিজেন। একজন লিখেছেন, ‘একদমই ঠিক। বিশেষ করে যদি কারো ডিপ্রেশন থাকে, তাহলে পিএমএস পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে! সাবধান। আলিঙ্গন।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘আমিও ভুক্তভোগী, খুবই সমস্যা।’ কারোর মন্তব্য, ‘PMS সত্যি বড্ড কষ্টের।’
এক নেটিজেন জানিয়েছেন, ‘একই সমস্যায় আমি ভুগেছিলাম কিন্তু একজন খুব ভাল গাইনোকোলজিস্ট এবিষয়ে আমায় পরামর্শ দেন। আমি একদম কাটিয়ে উঠেছি। এবং তারপর আমি মেয়ের জন্ম দিলাম। কোনো জটিলতা ছাড়াই।’ এভাবে বহু নেটিজেন এবিষয়ে মন্তব্য করেছেন।
কিন্তু কী এই PMS?
প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম (পিএমএস) হল এমন কিছু লক্ষণের সংমিশ্রণ যা অনেক মহিলা তাঁদের ঋতুস্রাব এক বা দুই সপ্তাহ আগে অনুভব করেন। এবিষয়ে ৯০% এরও বেশি মহিলা, বলেন যে তাঁদের ঋতুস্রাবের আগে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন পেট ফাঁপা, মাথাব্যথা এবং মেজাজ খারাপ হওয়া। কারোর কারোর ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা, অকারণে মনখারাপ, কান্না পাওয়ার মতো লক্ষ্মণও দেখা যায়। কারও ক্ষেত্রে পেটখারাপ, বদহজম, খাবারে অরুচির মতো উপসর্গও দেখতে যেতে পারে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে হাড়ে ব্যথা, পেশীতে টানও দেখা যায়।
অনেক মহিলাদের ক্ষেত্রে, এই লক্ষণগুলি এত তীব্র হয় যে তাঁরা কাজ বা স্কুল মিস করেন। আবার অনেক মহিলার ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলি অনেকটাই কম হয়। গড়ে,৩০ বছর বয়সী মহিলাদের ক্ষেত্রেই পিএমএস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। চিকিৎসকরা অনেক ক্ষেত্রেই এই লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দেওয়ার উপায় বলে দিতে সাহায্য করতে পারেন।
কেন হয় ও কী করা উচিত?
ঠিক কী কারণে পিএমএস হয় তার নির্দিষ্ট ব্য়াখ্যা দিতে পারেননি গবেষকরা। মাসিক চক্রের সময় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন এর মূলক কারণ হতে পারে। করতে পারে। এই পরিবর্তনশীল হরমোনের মাত্রা কিছু মহিলাকে অন্যদের তুলনায় বেশি প্রভাবিত করে।
তবে PMS-এর নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই, শরীরচর্চা, ব্য়ালেন্স ডায়েট এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে। এছাড়া সমস্যা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।