করিনা কাপুর খান এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যে বি-টাউনের দুটো বড় নাম তা বলাই বাহুল্য। তাঁরা দু'জনেই তাঁদের প্রতিভা, শৈলী এবং শক্তিশালী অভিনয় দিয়ে দশকের পর দশক ধরে দর্শকের মুগ্ধ করে এসেছেন। কিন্তু জানলে অবাক হবেন একটা সময় এই দুই অভিনেত্রীর জড়িয়ে পড়েছিলেন গুরুতর বিবাদে।
প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দ্বন্দ নিয়ে অকপট করিনা
করিনা কাপুর খান এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যে বি-টাউনের দুটো বড় নাম তা তো বলাই বাহুল্য। তাঁরা দু'জনেই তাঁদের প্রতিভা, শৈলী এবং শক্তিশালী অভিনয় দিয়ে দশকের পর দশক ধরে দর্শকের মুগ্ধ করে এসেছেন। এখনও সমান দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা। বর্তমানে দু'জনই তাঁরা মা হয়েছেন। কাজের পাশাপাশি দু'জনই দক্ষ হাতে সামল দিচ্ছেন সংসার। কিন্তু জানলে অবাক হবেন একটা সময় এই দুই অভিনেত্রীর জড়িয়ে পড়েছিলেন গুরুতর বিবাদে।
২০০৪ সালে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘এতরাজ’ ছবিতে প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করেন করিনা ও প্রিয়াঙ্কা। আর তারপর থেকেই এই সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল। তাঁদের উত্তেজনা আড়াল-আবডালের গণ্ডি ছাড়িয়ে এসে পড়ে দর্শকদের সামনে। ‘কফি উইথ করণ’-এও এই সমস্যার আঁচ পৌঁছে গিয়েছিল। করণ জোহর তাঁর শোতে করিনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কাকে তিনি কী জিজ্ঞাসা করতে চান? এই প্রশ্নে করিনা ঠাট্টার সুরে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘প্রিয়াঙ্কা কোথা থেকে এমন অ্যাকসেন্ট শিখেছে, এটাই আমি শুধু চিন্তা করি।’
আর তাঁর এই কথা শুনেই কড়া জবাব দেন প্রিয়াঙ্কা। করিনার উপস্থিতিতেই তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় ওঁর প্রেমিক (বর্তমানে স্বামী সইফ আলি খান) যে জায়গা থেকে শিখেছিলেন, সেখান থেকেই।' তাঁদের এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় জোর চর্চা।
তবে এখানেই শেষ নয়। গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, করিনা এবং প্রিয়াঙ্কা বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্পে একটা কনসার্টের সময় একসঙ্গে গিয়েছিলেন, সেখানেও তাঁদের মধ্যে সমস্যা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, সেই লড়াই নাকি হাতাহাতি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ২০২৩ সালে, কারিনা অবশেষে মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, 'না, না, সবটাই গুঞ্জন। আমি সেই সময় ভাবছিলাম, 'এসব কী হচ্ছে?' কিন্তু আমার মনে হয়, আমাদের সকলেরই মধ্যেই রাগ আছে, এমন কিছু বিষয় থাকে যেখানে আমরা সবাই নিজেদের প্রমাণ করতে চাই।'
পাশাপাশি করিনা এও জানান, সংবাদমাধ্যম কীভাবে ৯০-এর দশক থেকে ২০০০-দশক শুরু দিক পর্যন্ত তাঁদের মধ্যকার সমস্যা নিয়ে গুঞ্জন ছড়াতেন। তিনি বলেন, ‘৯০-এর দশক পুরোটাই এটা নিয়ে কেটেছে। ৯০-এর দশকে শুরু হয়েছিল এবং ২০০০ সাল পর্যন্ত এই ক্যাটফাইট চলেছিল। আজ, আমি জানতে চাই, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন না, শুনতে পাচ্ছেন না, তাহলে কীভাবে ভেবে নিতে পারেন আপনারা। তবে এখন এই নিয়ে আলোচনা কমেছে এটাই বড় ব্যাপার।’